খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ একের পর এক ভুল করেই চলেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক মঈনুল আহসান নোবেল। বিতর্কে হামেশাই জড়িয়ে পড়েন সারেগামাপা খ্যাত এই বাংলাদেশি গায়ক। কখনো গান চুরির অপবাদ আবার কখনো স্ত্রীকে অত্যাচারের অপবাদে একাধিকবার খবরে শিরোনামে এসেছেন নোবেল। সারেগামাপার মাধ্যমে জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে নিজের গানের পরিবর্তে এখন এদেশে নানান সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন নোবেল।
এক বান্ধবীর সঙ্গে বান্দারবানে বেড়াতে গিয়ে মাদকদ্রব্য সেবন ও একাধিক বিতর্কিত কাজ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে নোবেলের বিরুদ্ধে। গত বুধবার বাংলাদেশের বান্দরবানে ভ্রমণে যান নোবেল। আর সেখানে যাওয়ার সময়ই রুমা বাসস্ট্যান্ডে নোবেল অসংলগ্ন অসঙ্গতি পূর্ণ আচরণ শুরু করেন। এরপরই বাস কর্তৃপক্ষ তাঁকে আর পাহাড়ি রাস্তায় নিয়ে যেতে চাননা। এরপর নোবেলকে নিয়েই রুমা বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই বাসটি ছেড়ে যায়।
নোবেল কোনোরকমে বান্দরবান সদরে পৌঁছান। নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন নোবেল। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বান্দারবানের পার্বত্য অঞ্চলের নাফাকুম জলপ্রপাতের পাশে এক মহিলার সঙ্গে বসে সময় কাটাচ্ছেন গায়ক। আর এই ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘গাঁজার নৌকা পাহাড়তলী যায় ও মিরাবই…’। জানা গিয়েছে, এক বিশেষ বান্ধবীকে নিয়ে বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন এই গায়ক। এমনকি সেদিন রাতে বান্দরবানে পৌঁছার পর সেই বান্ধবীকে নিয়ে সঙ্গীতশিল্পী নোবেল বান্দরবান সদরের থানচি স্টেশনের পাশে গার্ডেন সিটি নামের একটি আবাসিক হোটেল ওঠেন। আর হোটেল কর্তৃপক্ষকে ‘কাপল’ পরিচয়ে পরিচয় করান। টানা দুদিন একসাথে হোটেলে ছিলেন।
হোটেল থেকে বেরিয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে বেড়িয়ে পড়েন। এলাকাবাসী জানান, এ সময় তিনি প্রচুর পরিমাণে নেশাগ্রস্ত ছিলেন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে নানান ভাবে দুর্ব্যবহারও করেন। তার এই দুর্ব্যবহারে বিরক্ত হন এলাকার লোকজন। ফের সন্ধ্যায় গার্ডেন সিটি হোটেলে ফের ফিরে আসেন তিনি। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাত ৩টে পর্যন্ত মদ্য পান করে হোটেলের মধ্যে চিৎকার ও চেঁচামেচি করেন। অভব্য আচরণ করেন হোটের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
হোটেলের কর্মচারীর সাথে অন্য এক পর্যটকের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। কর্মচারীদের গায়ে হাত ও তোলেন। এমত অবস্থায় হোটেল মালিক পুলিশকে খবর দেন। রাত তিনটের সময় পুলিশ এসে গায়ককে নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ওই হোটেলের ছাড়তে বাধ্য হন নোবেল ও তাঁর বান্ধবী। হোটেল মালিক মো. জাফর জানান নোবেলের ব্যবহারের জন্যই তিনি পুলিশকে খবর দিতে বাধ্য হন।