খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ বর্তমান মহামারীর প্রেক্ষিতে কর্ম ক্ষেত্রে নিরাপত্তায় এক আমূল পরিবর্তন হিসাবে দুর্গাপুরের এসআইআর এবং সিএমইআরআই কোভিড সুরক্ষা ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছে। প্রতিষ্ঠানের নির্দেশক অধ্যাপক হরিশ ইরানি কর্ম ক্ষেত্রের জন্য এই প্রযুক্তির বিবরণ প্রকাশ করে বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি, যে কোনও প্রতিষ্ঠানে অগ্রভাগে থাকা নিরাপত্তা কাজে যুক্ত থাকা কর্মীরাও সংক্রমিত ব্যক্তি বা বস্তুর মাধ্যমে কোভিডে আক্রান্ত হতে পারেন। দুর্গাপুরের এই প্রতিষ্ঠানটি অদূর ভবিষ্যতে ডিজিটাল এন্ট্রি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্ভাবন করবে। এর ফলে, কর্ম ক্ষেত্রে কাজকর্ম নির্বাহ পদ্ধতি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হবে। সমগ্র ব্যবস্থাটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ইন্টারনেট অফ থিঙ্কস্ পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হবে। কর্ম ক্ষেত্রে কোভিড সুরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে যে ধরনের প্রযুক্তিগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে – সোলার বেসড্ ইন্টেলিজেন্ট মাস্ক অটোমেটেড ডিস্টেনসিং ইউনিট তথা থার্মাল স্ক্যানার; টাচলেস ফুসেট এবং 360 ডিগ্রি কার ফ্লাশার। এই প্রযুক্তিগুলি হস্তান্তর এবং এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদিত সামগ্রী বিপণনের ব্যবস্থা হয়েছে।
শ্রী ইরানি আরও বলেন, দুর্গাপুরের এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য হ’ল – স্টার্ট আপ ও শিল্পোদ্যোগীদের সাহায্য করা এবং এ ধরনের ছোট শিল্প ক্ষেত্রকে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির বিকাশে উৎসাহিত করা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি প্রযুক্তি-নির্ভর সরঞ্জাম উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ আত্মনির্ভর ভারত গঠনের পথ আরও সুগম হবে।
কর্মক্ষেত্রে কোভিড সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য যে প্রযুক্তিগুলিকে কাজে লাগাণো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে – সোলার বেসড্ ইন্টেলিজেন্ট মাস্ক অটোমেটেড ডিস্টেনসিং ইউনিট তথা থার্মাল স্ক্যানার ( ইন্টেলিমাস্ট) : সোলার বেসড্ ইন্টেলিমাস্ট একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর পর্যবেক্ষণ কিয়স্ক, যা শরীরের তাপমাত্রা শনাক্ত করে এবং কোনও ব্যক্তি ফেসমাস্ক পরেছেন কিনা তা কাস্টামিজড্ সফটওয়্যারের মাধ্যমে চিহ্নিত করে।
টাচলেস ফুসেট : পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এই স্পর্শহীন কল বা টাচলেস ফুসেট চালু করা হচ্ছে। এর ফলে, কলের কাছে হাত রাখলেই ৩০ সেকেন্ডের ব্যবধানে তরল সাবান ও জল বেরিয়ে আসবে। তাই, কোনও রকম স্পর্শ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কলটি চালু হবে ও বন্ধ হয়ে যাবে। খুব সহজেই যে কোনও ওয়াশ বেসিনের ওপরে বসানো যাবে এবং যন্ত্রটি বসানোর সময় বিদ্যুতের প্লাগের সঙ্গে সাধারণভাবেই ইলেক্ট্রিক বোর্ডে বসিয়ে দেওয়া যাবে।
360 ডিগ্রি কার ফ্লাশার : সিএসআইআর-সিএমইআরআই এর উদ্ভাবিত এই যন্ত্রটি একটি সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড ওয়াটার স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে, স্যানিটাইজার মিশ্রিত জল গাড়ির বডি বা চাকার ওপরে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ছে কিনা তা নিশ্চিত করবে। যন্ত্রটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যার ফলে জলের অপচয় কমানো যাবে এবং বিচ্ছুরণের সময় সীমিত পরিমাণ জল বেরিয়ে আসবে। যন্ত্রটিতে যে পাম্প লাগানো রয়েছে, তা চালানোর জন্য ৭৫০ ওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। সূত্র – পিআইবি।