অনাথ মেয়ের ইচ্ছাশক্তির জোরে, নির্বাচিত হলো অলিম্পিকে যাবার জন্য !

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম মানুষকে নিয়ে যেতে পারে সাফল্যের চরম শীর্ষে। মনের জোর থাকলে জিতে নেওয়া যায় জীবনের সমস্ত কঠিন পরীক্ষা। তার জন্য দরকার মনের উদ্যমটাকে বাঁচিয়ে রাখা। বহু ক্ষেত্রে বহু উদাহরণ দেখেছি, যেখানে অনেক মানুষ তাদের জীবনে বহু প্রতিকুলতা থাকার সত্বেও হেরে যায়নি। দীর্ঘদিন লড়াই করে পৌঁছে গেছে তার লক্ষ্যে। ভারতে অনেক খেলোয়াড় রয়েছে যারা দরিদ্র পরিবারের থেকে উপরে উঠে এসেছে । দরিদ্রতা কোনভাবেই তাদের গ্রাস করতে পারেনি। এমনই এক উদাহরণ দেখা গেল তামিলনাড়ুর এক ছোট্ট গ্রামে। তামিলনাড়ুর ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা হলেন রেভাথি বীরমণি। ছোটবেলায় বাবা মাকে হারিয়ে অনাথ হয়ে যায় এই মহিলা। সংসারে অভাব-অনটন দারিদ্রতা লেগেই থাকত। পায়ের জুতো কেনার জন্য টাকাও ছিল না তাঁর কাছে। এত দারিদ্রতার সত্বেও মনের বল হারায়নি কখনো। ইচ্ছাশক্তির জেরে এগিয়ে গেছেন লড়াই করে।

আরও পড়ুন -  Question: বামফ্রন্টের পথেই কী হাঁটছে ঘাসফুল ? প্রশ্ন উঠছে

দারিদ্রতা সঙ্গে নিয়ে তামিলনাড়ুর এই ছোট গ্রাম থেকে টোকিও অলিম্পিকে যাত্রা করার স্বপ্ন দেখা সহজ ছিল না তার কাছে। ছোটবেলায় বাবা-মা দু’জনকেই হারিয়ে ফেলেন।তখন থেকেই বোনের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে একা সংগ্রাম করে চলেছেন জীবন পথে। তাঁর ছোট বোনকে খুব যত্নে মানুষ করেছেন তিনি। জীবন পথে অনেক তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য পেয়েছেন তাসত্ত্বেও কখনো দৌড়ানো ছাড়েননি। তার অসাধারণ প্রতিভা দেখে তার কোচ কানন তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁর বন্ধুরাও তাঁকে অনেক সাহায্য করেছেন। অনেক চেষ্টা করে বহু বছর পর দক্ষিণ রেলওয়েতে একটি চাকরি পান। আর তার সূত্রেই টোকিও অলিম্পিকে ৪০০ মিটার দৌড়ের জন্য নির্বাচিত হন এই মহিলা। অনার জন্য আমাদের শুভেচ্ছা রইলো ।

আরও পড়ুন -  নামতে গিয়ে পর্বতারোহীর মৃত্যু, অক্সিজেন ছাড়া