খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ মাত্র ৪৯ বছর বয়সে জীবনযাত্রা শেষ হল পরিচালক-প্রযোজক রাজ কৌশল চট্টোপাধ্যায়ের। স্ত্রী মন্দিরা বেদী ও দুই সন্তানকে একা রেখে বুধবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ মারা গিয়েছেন। করোনা নয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় পরিচালকের। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভিড় জমে যায় রাজ-মন্দিরার বাড়িতে। উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী হুমা কুরেশি, নেহা ধুপিয়া, অভিনেতা রনিত রায় ও অপূর্ব অগ্নিহোত্রী প্রমুখ। বলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত লাভ বার্ডস ছিলেন মন্দিরা বেদী ও রাজ। এদের প্রেম কাহিনী একসময় বি-টাউনে বেশ চর্চায় ছিল। ১৯৯৬ সালে পরিচালক মুকুল আনন্দের পার্টিতে দুজনের দেখা হয়েছিল। প্রথম দেখাতে প্রেম, তবে মন্দিরা বাড়িতে তাঁর জন্য পাত্রও ঠিক হয়ে যাওয়াতে তিনি রাজের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়নি৷ এরপর নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ১৯৯৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরিচালক, বন্ধু রাজ কৌশলের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন মন্দিরা বেদী। এই জুটির ৯ বছরের একটি ছেলে রয়েছে যার নাম বীর। ২০২০ সালে অক্টোবরে তাঁরা ৪ বছরের একটি কন্য সন্তান দত্তক নেন। নাম রাখেন তারা।
স্বামীর শেষ যাত্রায় স্বয়ং মন্দিরা উপস্থিত ছিলেন। বাড়ির ভিতর থেকে রাজের দেহ বার করে আনতে দেখা গিয়েছে রাজের ঘনিষ্ঠদের। বিভিন্ন ছবিতে মন্দিরার বিধ্বস্ত চেহারার দেখা পাওয়া গিয়েছে।একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে রনিত রায়ের হাত ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। স্বামীর রাজ কৌশলের শেষযাত্রায় কাঁধ দিতে দেখা গেল স্ত্রী মন্দিরাকে। তার পরেই অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠেন স্বামীর শেষ যাত্রায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে। রাজের মুখাগ্নি করার জন্য আগুন হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মন্দিরা। সকলের কাছে রাজের এই মৃত্যু এক অবিশ্বাস্য ঘটনা।
রবিবারেও নিজের বাড়িতে ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে একটি হাউস পার্টির আয়োজন করেছিলেন রাজ আর মন্দিরা। এই পার্টিতে ছিলেন নেহা ধুপিয়া, অঙ্গদ বেদি এবং সাগরিকা ঘাটকে। কি থেকে কি হয়ে গেল কেউ জানতে পারলোনা৷
View this post on Instagram
কপিরাইটার হিসাবে অভিনয় জগতে পা রাখেন রাজ। পরবর্তীতে মুকুল আনন্দ, সুভাষ ঘাইয়ের ত্রিমূর্তি’র মতো ছবিতে সহকারী হিসাবেও কাজ করেছিলেন। এরপর নিজেই সিনেমা পরিচালনার কাজ শুরু করেন। তিনটি ছবি তিনি পরিচালনা করেছিলেন। প্যায়ার মে কভি কভি, শাদি কা লাড্ডু এবং অ্যান্থনি কৌন থা।১৯৯৮ সালে নিজের বিজ্ঞাপন সংস্থার কাজও শুরু করেন এবং প্রায় ৮০০টির উপরে কর্মাশিয়াল পরিচালনা করেছিলেন।