বিজেপির বৈঠকে অনুপস্থিত কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দূরত্ব শুরু হয়েছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   ২৯ জুন হতে চলেছে রাজ্য বিজেপির একটি ভার্চুয়াল বৈঠক, কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শুধুমাত্র কৈলাস না, বিজেপির আরও বেশ কিছু নেতা যেমন, শিবপ্রকাশ ও অরবিন্দ মেনন এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে চলেছেন। এই বৈঠকের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতির নাম ঘোষিত হতে পারে। কিছুদিন আগেই আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৃণমূলে যোগদান করায় সেই পদ এখন খালি রয়েছে। এই বৈঠক থেকে আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতির জন্য উপযুক্ত নাম ঠিক হবে।

এই বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় কেন যাচ্ছেন না? ভোটে ভারতীয় জনতা পার্টির ভরাডুবির পর থেকেই রাজ্যে দেখা যায়নি কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। শোনা যায় তিনি তার নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশ ফিরে গিয়েছেন। কিছুদিন আগে তার নামে বেশ কিছু পোস্টার পড়েছে যেখানে তাকে টিএমসি সেটিং মাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। রাজ্য বিজেপির কার্যালয় ৬ নম্বর মুরালিধর লেনে এই পোস্টার দেখা গিয়েছিল। শুধু এখানেই নয় এয়ারপোর্ট এবং হেস্টিংস কার্যালয়ের বাইরে ওই ধরনের পোস্টার পড়েছিল ।

আরও পড়ুন -  অমিত শাহকে কি হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ?

পোস্টারে লেখা ছিল গো ব্যাক। শুধু তাই নয় সপ্তাহ খানেক আগে এক বিজেপি কর্মীর একটি টুইটকে হাতিয়ার করে বিজেপি নেতা তথাগত রায় কৈলাসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি টুইটের রিটুইট করে তথাগত রায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে কটাক্ষ করেন। সেই টুইটে কর্মী কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে চলে যাবার বার্তা দিয়েছিলেন। মুকুল যখন বিজেপিতে ছিলেন তখন কৈলাস বিজয়বর্গীয় সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল বেশ ভালো। কিন্তু, মুকুল তৃণমূলে চলে যাওয়ার পরেই কৈলাস এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বহু বিজেপি নেতা। তথাগত তো সরাসরি তার টুইটে কৈলাসকে তৃণমূলে চলে যাওয়ার কথা বলেন। এছাড়াও কৈলাসকে তিনি বোকা বেড়াল বলে সম্বোধন করেন।

আরও পড়ুন -  মূল্যবোধ ছাড়া শিক্ষাব্যবস্থার কোন মূল্য নেই- উপরাষ্ট্রপতি

ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দরে মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয় সখ্যতা নিয়ে সকলে অবগত। কিন্তু দিন দিন মুকুল রায় বিজেপির জন্য সবথেকে বড় কাঁটা হয়ে উঠছিলেন। মুকুলের তৃণমূলে যোগদান করার পর সেই বৃত্তটা সম্পূর্ণ হলো। আর এবারে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান সমস্যা হলো মুকুলের বন্ধু কৈলাস। দিন কয়েক হলো কৈলাস বিজয়বর্গীয় সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য নেতৃত্বের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বহু বৈঠকে তাকে দেখা যাচ্ছে না, এমনকি সামনাসামনি হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টি কে নিয়ে কোন কথা বলতে শোনা যাচ্ছে না তাকে। তাই মুকুলের পর এবার কৈলাস বিজয়বর্গীয় হয়ে উঠেছেন বিজেপির জন্য সবথেকে বড় কাঁটা।

আরও পড়ুন -  বিজেপি মহিলা মোর্চার কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, গ্রেফতার বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল