খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদ মামলায় যখন সিবিআই ৪জন হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করেছিল তখন নিজাম প্যালেসে ধরনায় বসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে যখন শুনানি হচ্ছিল তখন, উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। দুটি অভিযোগে হঠাৎ করেই নারদ মামলায় যুক্ত হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রি মলয় ঘটকের নাম। হাইকোর্টে তরফ থেকে তাদের দুজনকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার সওয়াল-জবাব শেষ হওয়ার পরে তারা নিজেদের হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি জানিয়ে দেন সওয়াল-জওয়াব শেষ হবার পরে তাঁর হলফনামায় দিয়েছেন তাই তিনি সেটা গ্রহণ করবেন না। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা নিজেও সেই হলফনামা খারিজের দাবি জানিয়েছিলেন।
রাজ্যের তরফে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানান, যেকোনো মামলার ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়া যায়, এটাই মূলত হাইকোর্টের নিয়ম। কিন্তু এই যুক্তি গ্রহণ করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য হলফনামা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু হলফনামা জমা দিতে দেরি হয় এবং হাইকোর্ট ওই হলফনামা নিতে অস্বীকার করে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকেই ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।