সুন্দরবনে এই সময়টিতে মনোযোগ দেওয়া দরকার, খুব তাড়াতাড়ি

Published By: Khabar India Online | Published On:

নিজস্ব প্রতিনিধি, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ   গতকাল, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূলে ল্যান্ডফল করেছে। আমি গত তিন দিন ধরে সুন্দরবনে আছি এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। ঘূর্ণিঝড়ের পরের প্রভাব নিয়ে আমি কথা বলছি না। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রান্ত হয়েছে, তবুও বাতাস প্রবলভাবে প্রবাহিত হচ্ছে, জলের স্তরটি গতকাল যেমন ছিল তেমন উঁচুতে। আজ গ্রামে গ্রামে শুধু জল। স্থানীয়দের কিছু লোক বলছেন যে, গতকাল থেকে জলের পরিমাণ আরও বেশি। এটাই নতুন জিনিস। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস দূরে ভ্রমণ করেছে, তবে ঝড়টি এখনও শেষ হয়নি। মানুষ লড়াই করছে। দ্বীপের বেশিরভাগ গ্রাম পুরোপুরি প্লাবিত।

আরও পড়ুন -  তাসনিয়া ফারিণ হানিমুনে

ঘূর্ণিঝড়টি একমাত্র সমস্যা ছিল না। এটি পূর্ণিমার উচ্চ জোয়ারের সাথে সিঙ্ক্রোনাইজ হয়েছিল। এই উভয় বাহিনী এখনও এক সাথে কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরে সাধারণত বাতাস থেমে যায়, তবে এবার তা হয়নি। ফলস্বরূপ আরও অনেক অঞ্চল প্লাবিত হয়।

আরও পড়ুন -  Japan: শোকস্তব্ধ জাপান, আবে হত্যাকাণ্ডে

সুন্দরবনের মানুষের প্রধান সমস্যা লবণাক্ত জল। তারা কেবল তাদের খাদ্য বা পানীয় জল বা তাদের জিনিসপত্র হারাচ্ছে না তারা তাদের কৃষিজমিও হারাচ্ছে যা পুনরুদ্ধারে দীর্ঘ, দীর্ঘ সময় নেয়। তারা মিষ্টি জলের পুকুর, মাছও হারাচ্ছে এবং এটি দীর্ঘকালীন জীবিকার সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এইবার যা উদ্বেগজনক তা হ’ল সমস্যাটির মাত্রা। এটি বিশাল এবং তাই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার জন্য বিশাল প্রচেষ্টা করা দরকার। আমার পর্যবেক্ষণ অনুসারে তাত্ক্ষণিক প্রয়োজন হ’ল পানীয় জল, খাদ্য এবং আশ্রয়।

আরও পড়ুন -  ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিলি করুন , বিস্ফোরক ইমন চক্রবর্তী, ঘরে বসে না থেকে

আমি মনে করি এবার সুন্দরবনের সাহায্যের জন্য অনেক লোকের জড়িত হওয়া দরকার। পরিস্থিতি কেমন তা দেখানোর জন্য আমি আজ নেওয়া কয়েকটি ছবি পোস্ট করছি। সকলে এদের পাশে থাকুন।