Lakshmir Bhandar: ফর্মে ভুল থাকলে বন্ধ হবে ভাতা, সরকারের কড়া নির্দেশ! সংশোধনের শেষ সুযোগ জুলাইয়ের আগে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার:
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে হলে উপভোক্তাদের এখনই হতে হবে সতর্ক। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী জুলাই মাস থেকেই যাঁদের আবেদনপত্রে ভুল থাকবে, তাঁরা আর এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা পাবেন না। ফলে হাজার হাজার মহিলার জন্য এখন তৈরি হয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ—ফর্মের ভুল কীভাবে এবং কোথায় সংশোধন করবেন?
রাজ্য সরকারের সূত্র অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই অধিকাংশ ভুল ধরা পড়েছে আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাক্তিগত তথ্য-সংক্রান্ত বিষয়ে। যেমন—আধার কার্ডের নাম ও ফর্মে লেখা নামের অমিল, অথবা অন্য কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে ফর্ম জমা হওয়া।
এই পরিস্থিতিতে সরকার নির্দিষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, ফর্মে কোনও ভুল থাকলে তা জুলাইয়ের আগেই সংশোধন করতে হবে, না হলে বাতিল হতে পারে ভাতা। নির্ভুল তথ্য দেওয়া না হলে অর্থবন্টনের স্বচ্ছতা বিঘ্নিত হয়, তাই প্রশাসন এখন কঠোর অবস্থানে।
কীভাবে সংশোধন করবেন?
সরকার এই সমস্যা সমাধানের জন্য স্পষ্ট দিশা দেখিয়েছে। উপভোক্তাদের যেতে বলা হয়েছে—
• নিকটবর্তী ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে
• অথবা স্থানীয় ব্লক, পঞ্চায়েত বা পুরসভা অফিসে
সেখানে সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং, হেল্পলাইন চালু এবং প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
কোন কোন ভুলে টাকা বন্ধ হতে পারে?
• ভুল আধার নম্বর
• ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যে গরমিল
• ব্যক্তিগত তথ্য—নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা ইত্যাদিতে ভুল
সংশোধনের সময় কী কী কাগজ লাগবে?
• আধার কার্ড
• ব্যাঙ্ক পাসবুক
• ভোটার কার্ড বা অন্য পরিচয়পত্র
• সংশোধিত তথ্যের প্রমাণপত্র।
সংশোধনের পর কী হবে?
ফর্ম সংশোধনের পর প্রশাসনের তরফে ফের স্ক্রুটিনি করা হবে। সমস্ত তথ্য সঠিক পাওয়া গেলে উপভোক্তাকে আবার যুক্ত করা হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে।
উপসংহার
সরকারিভাবে এখনও সংশোধনের নির্দিষ্ট শেষ তারিখ ঘোষণা না হলেও, জুলাইয়ের আগেই এই কাজ শেষ করার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন। তাই যাঁরা এখনও ফর্মের ভুল সংশোধন করেননি, তাঁদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়াই একান্ত প্রয়োজন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা চালু রাখতে হলে এখনই সংশোধনে উদ্যোগী হন। একটিমাত্র ভুলই হতে পারে বড় বিপদের কারণ।