200 Rupee Note: নতুন বছরে চমকপ্রদ ঘোষণা আরবিআই-এর!
২০০ টাকার নোট:
বর্তমানে ভারতে ৫০০ টাকার নোট সর্বাধিক ব্যবহৃত হলেও, ২০০০ টাকার নোট বাতিলের পর ২০০ এবং ৫০০ টাকার নোটের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে ২০০ টাকার জাল নোটের প্রকোপ বাড়ছে, যা লেনদেনের ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাল নোটের বাড়বাড়ন্ত
সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, বিহার এবং তেলেঙ্গানার নির্মল জেলার মতো জায়গায় ২০০ টাকার জাল নোট নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন দেখা যাচ্ছে। জাল নোটগুলি দেখতে আসল নোটের মতো হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ সহজেই প্রতারিত হচ্ছেন। ফলে ব্যবসায়ীরা এবং সাধারণ মানুষ নোট যাচাই করার বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্ক হচ্ছেন।
আরবিআই-এর নির্দেশিকা
জাল নোট ঠেকাতে এবং আসল নোট চেনার জন্য আরবিআই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দিয়েছে:
• দেবনাগরী লিপি: আসল ২০০ টাকার নোটে দেবনাগরী লিপিতে ‘২০০’ লেখা থাকে।
• মহাত্মা গান্ধীর ছবি: নোটের মাঝখানে স্পষ্টভাবে মহাত্মা গান্ধীর ছবি মুদ্রিত।
• মাইক্রো লেটারিং: নোটে ‘আরবিআই’, ‘ভারত’, ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘২০০’ মাইক্রো লেটারিং-এ লেখা থাকে।
• নিরাপত্তা থ্রেড: সুরক্ষা থ্রেডে ‘ভারত’ ও ‘আরবিআই’ লিপ্যন্তরিত থাকে।
• অশোক স্তম্ভ: নোটের ডানদিকে অশোক স্তম্ভের প্রতীক দেখা যায়।
জনগণের প্রতি আবেদন
আরবিআই সর্বসাধারণকে অনুরোধ করছে, প্রতিটি লেনদেনের সময় নোট ভালোভাবে যাচাই করতে এবং সন্দেহজনক নোট পাওয়া মাত্র স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে।
জাল নোট প্রতিরোধে উদ্যোগ
জাল নোটের প্রবণতা রোধ করতে সরকার এবং আরবিআই নগদ লেনদেনের স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি চালাচ্ছে। ২০০ টাকার নোটের ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলি মেনে চলা সাধারণ মানুষের দায়িত্ব।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সঠিক নির্দেশিকা মেনে চলার মাধ্যমে জাল নোট সমস্যার সমাধান সম্ভব।