Railways: দুরন্ত গতিবেগের ট্রেন।
বিগত কয়েক বছরে প্রযুক্তির দুনিয়ায় এক নতুন বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপান, ভারত এবং ফ্রান্সের মতো দেশগুলো আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বে শীর্ষস্থান অর্জনের দৌড়ে নেমে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত তারা একের পর এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করে নিজেদের ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। একটি প্রচলিত কথা রয়েছে: যে দেশের পরিবহন ব্যবস্থা যত উন্নত, সেই দেশ তত দ্রুত উন্নতির শিখরে পৌঁছায়। এই কথার যথার্থতা প্রমাণ করতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে চীন।
বুলেট ট্রেন নির্মাণের ক্ষেত্রে জাপানকে টপকে যাওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল চীন। গত এক দশকে চীনকে সারা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সামরিক ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং পণ্য উদ্ভাবনে চীনের ভূমিকা অনন্য। তবে এবার দেশটি এমন এক বুলেট ট্রেন তৈরি করেছে, যা প্রযুক্তি এবং গতির ক্ষেত্রে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
জাপান এবং চীন দীর্ঘদিন ধরে বুলেট ট্রেন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিখ্যাত। এতদিন পর্যন্ত জাপানের বুলেট ট্রেন সর্বোচ্চ ৫০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে চলত, যেখানে চীনের ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ছিল ৩৪৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে এবার চীন তাদের নতুন প্রযুক্তি দিয়ে গতি এবং নকশার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।
চায়না রেল জানিয়েছে, তাদের নতুন বুলেট ট্রেন ৬৪৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে চলতে সক্ষম। এই ট্রেনের নকশা এবং প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে, যা দূরপাল্লার যাত্রীদের যাত্রা আরও আরামদায়ক করবে। চীনের এই ট্রেন শুধু জাপানের বুলেট ট্রেনকেই নয়, বিমানের গতিকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। নতুন এই ট্রেনকে মোঙ্গলেভ প্রযুক্তির সহায়তায় নির্মাণ করা হয়েছে এবং এটি পরিবহন ব্যবস্থায় এক নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে।