শপিং মল হবে সব জেলায়, রাজ্যবাসীর জন্য ভালো খবর মমতা সরকারের

Published By: Khabar India Online | Published On:

শপিং মল হবে সব জেলায়, রাজ্যবাসীর জন্য ভালো খবর মমতা সরকারের।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে, প্রতিটি জেলার সদর দপ্তরে শপিং মল তৈরি করা হবে। ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের দিন তিনি এই ঘোষণা করেছেন। ঝাড়গ্রাম শহরেও একটি শপিং মল গড়ে তোলা হবে। এই খবর শুনে স্থানীয় মানুষজন খুব খুশি হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শপিং মলের নিচের দুটি তলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত থাকবে, যেখানে তারা নিজেদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন। বাকি তিনটি তলায় বিভিন্ন ধরনের দোকান বসবে।

আরও পড়ুন -  Web Series: শরীর গরম করে দেবে উল্লুর এই সাহসী ওয়েব সিরিজ, একা দেখুন, ভুলেও কারো সামনে নয়!

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের ২৩টি জেলার সদর দপ্তরে এক একর করে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে, যেখানে এই শপিং মল গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও, প্রতিটি শপিং মলে একটি করে সিনেমা হল থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, জমি রাজ্য সরকার দেবে এবং বেসরকারি সংস্থা বিল্ডিং তৈরি করবে। এছাড়া, ঝাড়গ্রাম ও কালিম্পং জেলায় আদিবাসী ভবনও তৈরি করা হবে।

আরও পড়ুন -  Mamata Banerjee: বাংলার ৫০ হাজার লোকের চাকরি হয়েছে IT‌ সেক্টরে, টুইট করে মন্তব্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

এই উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন, কারণ এতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করার ভালো সুযোগ পাবেন। বর্তমানে অনেক জায়গায় তারা পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে সমস্যায় পড়েন। শপিং মল তৈরি হলে তারা সহজেই নিজেদের সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন, যা বিক্রির পরিমাণও বাড়িয়ে দেবে।

উদাহরণ হিসেবে, কোচবিহারে শীতলপাটির জন্য একাধিক বিক্রয় কেন্দ্র তৈরি হয়েছে, যা বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। সেরকমই যদি কোচবিহারে একটি শপিং মল তৈরি হয়, তবে সেখানে শীতলপাটি বিক্রির সুযোগও তৈরি হবে। দুর্গাপুর, আসানসোল, জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, দিঘা, মেদিনীপুর, মালদা এবং চন্দননগরেও শপিং মল তৈরি হতে পারে।

আরও পড়ুন -  Ullu Web Series: সাহসী রোমান্সে মোড়া ‘শাড়ি কি দুকান’, একান্তে দেখার মতো গল্প

এছাড়া, যারা আচার এবং হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরি করেন, তারাও এই শপিং মলে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা ন্যায্য মূল্যে এই ধরনের সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন। মোট কথা, রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগটি স্থানীয় শিল্পীদের জন্য খুবই উপকারী হতে চলেছে।