এই ঘটনার সঙ্গে কলেজের ভেতরের কেউ জড়িত আরজিকর কাণ্ডে, কোন প্রভাবশালী ইন্টার্নের দিকে ইঙ্গিত!
আরজিকর মেডিকেল কলেজ কাণ্ডে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মোড় আসছে, যা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসক মহলেও ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ধর্ষণ ও খুনের শিকার তরুণী চিকিৎসকের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি এটি একজনের একার কাজ, নাকি এর পেছনে রয়েছে আরো কেউ?
ময়না তদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্যাতিতার দুই গালে এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। থাইরয়েড কার্টিলেজ থেঁতলে দেওয়ার পর শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়। যৌনাঙ্গ থেকে প্রায় ১৫০ গ্রাম ফ্লুইড নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। এই তথ্য সামনে আসার পর আরও প্রবল হয়ে উঠেছে সন্দেহ, সেদিন রাতে সত্যিই কতজন হামলা চালিয়েছিল সেই চিকিৎসকের ওপর?
ডার্মাটোলজি বিভাগের এক জুনিয়র রেসিডেন্টের মতে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, এই ঘটনা একজনের একার পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। জুনিয়র চিকিৎসকরা চাইছেন, এই ঘটনার পেছনে একজন না বহুজন—সত্যিটা যেন প্রকাশ্যে আসে। অন্যদিকে, তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে শোনা যায়, আঘাতের ধরন দেখে অনুমান করা হচ্ছে যে, এর সাথে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত। ওই কণ্ঠ আরো জানায়, সন্দেহের কেন্দ্রে থাকা একজন ইন্টার্নের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড যথেষ্ট শক্তিশালী। তার পরিবারের সদস্যরাও উচ্চপদস্থ, তাই তার নাম প্রকাশ করলে সমস্যা হতে পারে।
তরুণী চিকিৎসকের পরিবার দাবি করছে, এই ঘটনার সঙ্গে কলেজের ভেতরের কেউ জড়িত। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা মনে করছেন, বড় কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তিকে আড়াল করার জন্য নিচু পর্যায়ের লোকেদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে।