বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জীবিত অবস্থায় চক্ষুদান এবং দেহদান করার অঙ্গীকার করেছিলেন, দৃষ্টি ফিরে পেলেন দুজন

Published By: Khabar India Online | Published On:

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জীবিত অবস্থায় চক্ষুদান এবং দেহদান করার অঙ্গীকার করেছিলেন, দৃষ্টি ফিরে পেলেন দুজন।

বৃহস্পতিবার বাংলার রাজনীতিতে একটি যুগের অবসান ঘটল। প্রয়াত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি, এবং শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জীবিত অবস্থায় চক্ষুদান এবং দেহদান করার অঙ্গীকার করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর, পরিবারের সদস্যরা শোকের মাঝেও নিজের কর্তব্য পালন করেন। সেইমতো তারা চক্ষুদান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, দুপুরের মধ্যেই তাঁর কর্ণিয়া সংগ্রহ করা হয়। রিজিয়োনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি (আরআইও) এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে। এরপর সন্ধ্যায় দুই ব্যক্তির চোখে বুদ্ধদেবের কর্ণিয়া স্থাপন করা হয়, যা তাঁদের নতুন দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন -  Lata Mangeshkar: স্তব্ধ কোকিলকণ্ঠ, প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর

আরআইও এর ডিরেক্টর জানিয়েছেন যে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর কর্ণিয়ার মান খুবই ভালো ছিল, কারণ তিনি তাঁর জীবনের শেষ কয়েক বছরে চোখের ছানি অপারেশন করাননি। এই কর্ণিয়া দু’জনের জীবনে নতুন আলো নিয়ে এসেছে, তবে নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  South Africa: বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১৮, দক্ষিণ আফ্রিকায়

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এবং শেষ কয়েক বছর তিনি প্রায় গৃহবন্দি জীবন কাটাচ্ছিলেন। বুধবার রাতেও তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল, তবে সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি প্রাতরাশের পর চা পান করেছিলেন, কিন্তু এরপর হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। নেবুলাইজারের মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট কমানোর চেষ্টা করা হলেও, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা এসে পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন -  বাথটবে স্নান করলেন নিরহুয়া স্ত্রী আম্রপালির সঙ্গে, ভিডিও ভাইরাল

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁর দেহদান করার অঙ্গীকার করেছিলেন এনআরএস মেডিকেল কলেজে, যাতে ভবিষ্যতে চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার কাজে তাঁর দেহ ব্যবহার করা যায়। মরণোত্তর তাঁর দেহ সেখানেই দান করা হবে।