‘যাঁর যেমন মানসিকতা’, শ্বশুর-শাশুড়ির অভিযোগের পালটা উত্তর শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের স্ত্রীর।
ঘটনা শুরু হয় এক বছরেরও বেশি সময় আগে, যখন সিয়াচেন হিমবাহ এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থেকে সহকর্মীদের উদ্ধার করতে গিয়ে শহিদ হন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। কিছুদিন আগেই তাঁর মা এবং বিধবা স্ত্রী স্মৃতি সিংয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মরণোত্তর কীর্তি চক্র পুরস্কার। আর তারপরেই শহিদ ক্যাপ্টেনের বাবা মা অভিযোগ আনেন বৌমা স্মৃতি সিংয়ের বিরুদ্ধে।
অংশুমান সিংয়ের আত্মত্যাগ
সিয়াচেন হিমবাহে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে সাহসী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে শহিদ হন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। তাঁর সাহসিকতা ও কর্তব্যপরায়ণতার জন্য তাঁকে মরণোত্তর কীর্তি চক্র পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
শ্বশুর-শাশুড়ির অভিযোগ
শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের বাবা রবিপ্রতাপ সিং এবং মা মঞ্জু দেবী অভিযোগ করেন যে, তাঁদের ছেলের মৃত্যুর পর অধিকাংশ সুযোগ সুবিধাই পেয়েছেন বৌমা স্মৃতি। তিনি এখন আর তাঁদের সঙ্গে থাকেন না।
পোস্টপেইড সিম ইস্যু
শহিদ ক্যাপ্টেনের বাবা মা দাবি করেন যে, তাঁদের ছেলের নামে একটি পোস্টপেইড সিম ছিল। কিন্তু স্মৃতি নাকি বেসিক সিম থেকে পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দিয়ে পোস্টপেইড থেকে প্রিপেইড সিম করে নেন। পরে টেলিকম সংস্থায় ফোন করে সবটা জানতে পারেন অংশুমানের বাবা মা।
এটিএম কার্ড ব্লক করা
শহিদ ক্যাপ্টেনের বাবা বলেন, ছেলের এটিএম কার্ড ব্যবহার করতেন তাঁর মা। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি আগে থেকেই মায়ের নামে করে রেখেছিলেন অংশুমান। কিন্তু ৮ তারিখ ওই এটিএম কার্ডও ব্লক করে দেওয়া হয়।
পরিবারের পরিচর্যার অভিযোগ
শহিদ ক্যাপ্টেনের মা দাবি করেন যে তিনি নয়ডায় চার মাস ছিলেন। সে সময় বৌমা স্মৃতিকে বাসন পর্যন্ত ধুতে দেননি।
স্মৃতি সিংয়ের প্রতিক্রিয়া
এবার বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন স্মৃতি সিং। রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বশুর-শাশুড়ির অভিযোগের উত্তরে তিনি কটাক্ষ করেছেন, তাঁর মানসিকতা যেমন, তিনি তেমনি কথা বলবেন। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, আপাতত তিনি বাইরে আছেন। তাই শ্বশুর শাশুড়ি ঠিক কী বলেছেন তা তিনি জানেন না। পুরো বিষয়টা জেনে তারপরেই তিনি মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন স্মৃতি সিং।
মানসিকতা ও বাস্তবতা
মানসিকতার প্রভাব যে কতটা গভীর হতে পারে, তা এই ঘটনায় স্পষ্ট। শহিদ ক্যাপ্টেনের পরিবার এবং স্ত্রী স্মৃতি সিংয়ের মানসিকতা ও বাস্তবতা একে অপরের বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে আছে।