App Buses: শ্রীরামপুর থেকে সল্টলেক এসি বাস, ভাড়া কত হয়েছে?
বর্তমানে সাধারণ মানুষ অ্যাপ নির্ভর গাড়িতে যাতায়াত করতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। এখন আবার কলকাতা ছাড়িয়ে মফস্বল এলাকাগুলিতে এ ঢুকে পড়ল App নির্ভর গাড়ি। এই অতিরিক্ত গরমে এসি গাড়িতে যাতায়াত করারও একটা প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এখন। এবার শ্রীরামপুর থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত বাস চালু হয়েছে সম্প্রতি।
এই অতিরিক্ত গরমে নিত্যযাত্রীরা বাইরে বেরোলেই ক্লান্ত হচ্ছেন। যদি একটু টাকা খরচ করেন, তাহলে আপনি পেয়ে যেতে পারেন অসাধারণ কমফোর্টেবল এসি বাস। শ্রীরামপুর থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত চলবে এবার অ্যাপ নির্ভর এসি বাস। আর ভাড়া শুনলে রীতিমতো চমকে যাবেন। কি করে এই গরমেও এত কম খরচে কমফোর্টেবল ভাবে যাতায়াত করতে পারবেন অ্যাপনির্ভর এসি বাসে।
এই অ্যাপনির্ভর বাসের ভাড়া কত হয়েছে?
আপনি এই বাসে চড়তে গেলে অনেকগুলো টাকা পকেট থেকে বার করতে হবে? মোটেই নয়। ভাড়া মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে রেখেছে। মাত্র ৩০ টাকা খরচ করে যেতে পারবেন এই এসি বাসে।
অন্য বাস রুটের কর্তৃপক্ষরা কি অভিযোগ জানাচ্ছে?
অন্যান্য বেসরকারি বাস রুটের কর্তৃপক্ষ আছেন, তারা অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তাঁদের পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ সেই বাসগুলি এসি নয়। এই গরমের মধ্যে মানুষ এসি বাসে যাতায়াত করাটাই অনেকটা ভালো মনে করছে। তাঁদের ভাড়াও চল্লিশ টাকা। এসি বাসের ভাড়া ৩০ টাকা।
সেক্ষেত্রে যাত্রীরা এসি বাসে করে কম খরচে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন, তাই তো বেসরকারি রুটের বাসে যাত্রীসংখ্যা অনেকটা কমে গিয়েছে। এমনকি ডিজেলের টাকাই উঠছে না। এই সব বাসের কর্মীরা পরিবার নিয়ে না খেতে পেয়ে মারা যাবে বলে জানাচ্ছেন, সেই বাস রুটের সংগঠনের সম্পাদক।
তাহলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্যের মুখ্য সচিব, পরিবহন মন্ত্রী, পরিবহন সচিব এবং হুগলী জেলা শাসক সহ আঞ্চলিক পরিবহন অধিকর্তাকে ইমেইল পাঠানো হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
এক জায়গা থেকে যাত্রী তুলে নির্দিষ্ট জায়গায় নামানোর কথা, কিন্তু সেই নিয়ম না মেনে সমস্ত বাস স্টপ থেকেই তারা যাত্রী উঠানো নামানো করছেন। যা নিয়মবিরুদ্ধ। পরবর্তীকালে স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেছেন, যে তিনি ওই সংস্থার সঙ্গে কথা বলবেন, বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের ভাড়ার তালিকা দেখবেন।
কোনো কারনে যদি বেসরকারি বাস রুট উঠে যায়, তাহলে কর্পোরেট সংস্থাগুলো ইচ্ছামত তাঁদের বাসের ভাড়া বাড়িয়ে দেবে। বাসের ন্যূনতম ভাড়া যেখানে ১৪০ টাকা হওয়া উচিত, সেখানে কিভাবে তারা ৩০ টাকায় এতদুর বাতানুকূল ব্যবস্থাসহ যাবতীয় খরচ মিটিয়ে বাস চালাচ্ছে এ প্রশ্ন অনেকের মাথায় ঘুরপাক দিচ্ছে।