দ্বিতীয় টেস্টে বীরদর্পে প্রত্যাবর্তন করলেন রোহিত-কোহলিরা। উইকেট বৃষ্টির টেস্টে দেড় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিলেন তারা। মোহাম্মদ সিরাজ এবং জাসপ্রিত বুমরাহর আগুনঝরা বোলিংয়ে দুই ইনিংসেই মুখ থুবড়ে পড়ল প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইন।
ভারত জিতল ৭ উইকেটে। দাপুটে এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল ভারত। এই টেস্টটা অনেক কারণেই মনে রাখবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেটি কেবল সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের টেস্ট বলেই নয়, কেপটাউন টেস্ট ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ডিন এলগারের অবসরের মঞ্চ। প্রথম টেস্টে দ্বিশতকের সম্ভাবনা নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৬ রান করেছেন এলগার। প্রথম ইনিংসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে জসরতি বুমরাহর সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
প্রথম দিনে ৫৫ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের প্রথম ইনিংস থামে ১৫৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৬ রান তুলতে সক্ষম হয় প্রোটিয়ারা। বুমরাহদের তোপ সামলে স্রোতের প্রতিকূলে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার এইডেন মার্করাম। ১০৬ রান করেছেন তিনি। দেড়শ ছাড়ায় প্রোটিয়ারা। ভারত লক্ষ্য পায় ৭৯ রানের। সহজ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৩ উইকেট হারিয়ে।
দুই দলের চার ইনিংস মিলিয়ে মোট খেলা হয়েছে ৬৪২ বল। কেপটাউন টেস্ট ভেঙেছে ৯২ বছর আগের রেকর্ড। সেই ম্যাচের সঙ্গেও জড়িয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। ১৯৩২ সালে মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রোটিয়াদের লড়াইয়ের মীমাংসা হয়েছিল ৬৫৬ বলে। সেই ম্যাচেও পরাজিত দল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস ও ৭২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ। আগুনে বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে দুই অঙ্কে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। ৯ ওভারে ৩ মেডেনসহ ১৫ রানে ৬ উইকেট নেন সিরাজ।
দ্বিতীয় ইনিংসে সিরাজের কাজটা করেন বুমরাহ। ৬১ রানে ৬ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ২টি শিকার মুকেশ কুমারের। বাকি ২ উইকেটের মালিক সিরাজ ও প্রষিধ কৃষ্ণা।
ছবিঃ সংগৃহীত।