দুই বাংলার চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের জন্মদিন আজ। এই দিনটিকে ঘিরে তাঁর কাছের মানুষ এবং ভক্তরা শুরু করে দিয়েছেন সেলিব্রেশন পার্টি। এই দেখে আবেগে আপ্লুত এই অভিনেত্রী।
অথচ অভিনেত্রীর কথায় দুঃখের সুর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। কেন? কি হয়েছে? জানালেন এই সারপ্রাইজ তাঁর কাছে আনন্দের হলেও জন্মদিনের কেক কাটবেন না তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর সন্তান আব্রাম খান জয়ের জন্মদিনেও কেক কাটবেন না।
অপু বিশ্বাসের জন্মদিনকে সামনে রেখে দিনটির আগেই মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) কাছের মানুষ এবং তাঁর ভক্তদের কাছ থেকে সারপ্রাইজ পার্টি উপহার পেয়েছেন। সেই বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানতেন না অপু। কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা, ব্র্যান্ড প্রমোটার বারিশা হকসহ কাছের মানুষরা সেলিব্রেশন পার্টি করেছেন।
এ সময় অপু বলেন, সারপ্রাইজ আমার জীবনে খুব কম আসে। যেগুলো আসে সেগুলো খুশির নয়। কিন্তু যেদিন থেকে আমি আমার কাছের মানুষদের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছি ওই সময় থেকেই সুখকর সারপ্রাইজগুলো পাচ্ছি। আজ সেই রকম এক সুন্দর সারপ্রাইজ পেলাম।
অপু আরও বলেন, জন্মদিনের আগের দিন থেকেই যে সারপ্রাইজ পার্টি হতে পারে বিষয়টা আমার একদমই মাথায় ছিল না। হঠাৎ এমন সারপ্রাইজ পেয়ে আমি সত্যি ভাষাহীন! পরিবারে যখন আমার জন্মদিন উদযাপন করা হতো তখন বেশিরভাগ সময়ই জন্মদিনের পরেই পুজো চলে আসতো।
সেই কারণে পরিবার থেকে আলাদা করে কখনও জন্মদিনের সারপ্রাইজ পেতাম না। কখনও সেটা পুজোর সাথে মিলিয়ে দেয়া হতো। কিন্তু আমার ছেলে জয়ের জন্মের পর আমার যে প্রথম জন্মদিনের কেক আমি কেটেছি সেই দিনটা আমার কাছে বিশেষ স্মরণীয় একটা দিন।
অপু বিশ্বাস বলেন, আমি আর কেক কাটতে চাই না। গতবছর আমার ছেলের জন্মদিন থেকে আমি মা হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কখনও জয়ের বার্থডে কেক কাটবো না। সেই সাথে আমিও কখনও আমার জন্মদিনের কেক কাটবো না।
সন্তান একজন মায়ের জন্য কি তা কোনো মা ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। ব্যতিক্রম আমিও নই। জয়ের প্রথম বার্থ ডে থেকে পঞ্চম বার্থ ডে আমি খুব আনন্দ করে করেছি। ষষ্ঠ বার্থ ডে জয় তার পরিবারের সঙ্গে করেছে। ওই সময় একটা বিষয়ের পর আমার মনে হলো জয়ের জন্মদিন আর ঘটা করে না করি। তারপর থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি জন্মদিনে আর কেক কাটবো না।
ছবিঃ সংগৃহীত।