দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যেন গোটা দেশে এক চরম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের সামনে। মশলা থেকে সবজি, মাছ-মাংস, চাল এবং ডাল, সবকিছুর দাম বেড়েছে হু হু করে।
বলা বাহুল্য, খুব অল্প সময়ে বেশি হারে ঘটেছে এই মূল্যবৃদ্ধি। বর্ষার শুরুতেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়েছে আমাদের রাজ্যেও। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, সেটা পরিষ্কার হয়েছিল নাগরিকদের কাছে। সাথে মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে। সবকিছু মিলিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ মধ্যবিত্তদের সামনে।
মাসখানেক আগে টমেটো, কাঁচালঙ্কা, রসুন এবং আদার দাম বেড়ে গিয়েছিল। মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল এই জিনিসগুলি। কিন্তু সেগুলির দাম এখন কিছুটা কমে এলেও এবার চোখ রাঙাচ্ছে পেঁয়াজ।
সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে বলে আগে থেকেই ইঙ্গিত মিলেছিল। ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে পেঁয়াজের দামে। ফলে আগামী কয়েকসপ্তাহে পেঁয়াজের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এই মূল্যবৃদ্ধি দমনে পুরোপুরিভাবে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। দেশে পেঁয়াজের যোগান ঠিক রাখতে এবার থেকে রপ্তানি শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হল। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই রপ্তানি শুল্ক বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে দেশের কৃষকদের মধ্যে। মহারাষ্ট্রের কৃষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন এই বিষয়টিকে ঘিরে। তাদের প্রশ্ন, এই সিদ্ধান্ত অনেকটাই আগেভাগে নিয়ে ফেললো সরকার।
উল্লেখ্য, এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, ইতিমধ্যে সরকার আগস্টে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন বাজারে সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে মিলছে পেঁয়াজ। যোগান কমে গেলে দাম বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।