অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) শিশুশিল্পী হয়ে। এরপর তাঁকে জনপ্রিয়তা করে দিয়েছে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’।
তখন থেকে ‘রানীমা’ বলেই অনেকে ডাকতে শুরু করেন দিতিপ্রিয়াকে। রানী রাসমণির শৈশবের ভূমিকায় প্রথমে দিতিপ্রিয়াকে নির্বাচন করা হলেও পরবর্তীকালে রানীমার প্রৌঢ় বয়সের চরিত্রেও দক্ষতার সাথে অভিনয় করেছিলেন। জনপ্রিয়তাই ডেকে এনেছে দিতিপ্রিয়ার বিড়ম্বনা। ব্যক্তিগত জীবনে রানী রাসমণির ভূমিকা এতটাই প্রভাব ফেলেছে, দিতিপ্রিয়াকে পান থেকে চুন খসলেই রীতিমত ট্রোল হতে হচ্ছে।এখন নিজের ইমেজ ভেঙে ফেলতে চাইছেন দিতিপ্রিয়া।
সাম্প্রতিক কালে হইচই-এ স্ট্রিম হওয়া ওয়েব সিরিজ ‘রাজনীতি’-র মাধ্যমে কিছুটা সফল হয়েছেন দিতিপ্রিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সাহসী পোশাক পরা ছবি ভাইরাল হতেই কটাক্ষের তীর ধেয়ে এসেছে অভিনয়ের রানীমার কাছে। রানী রাসমণির ব্যক্তিত্বের সাথে শুরু হয়ে গিয়েছে দিতিপ্রিয়ার মাপ সাথে তুলনা। ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলকে পাত্তা দিচ্ছে না দিতিপ্রিয়া। তিনি মনে করেন, ট্রোলিং মানুষকে আঘাত করে। যার ফলে তৈরি হয় খারাপ লাগা। সেখানেই দিতিপ্রিয়ার আপত্তি আছে। দিতিপ্রিয়া অবশ্য জানেন, তিনি যে পেশার সাথে যুক্ত, তাতে ট্রোল হবেই।
দিতিপ্রিয়া জানতেন, সাহসী পোশাক পরে ফটোশুট করলে তাঁকে সমালোচিত হবে। কিন্তু তাঁর শুভাকাঙ্খীরা খুশি। দিতিপ্রিয়া ইমেজ ভেঙে বেরোতে পেরেছেন। নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে ভাবেন না দিতিপ্রিয়া। যা সঠিক মনে করেন, তাই করেন। দিতিপ্রিয়ার মতে, রানী রাসমণির ভূমিকায় অভিনয় করাকালীন প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি বজায় রেখেছিলেন রানীমার ইমেজ। ব্যতিক্রম ঘটেনি ব্যক্তিগত জীবনেও। বর্তমানে তিনি রানী রাসমণি নন, শুধুমাত্রই দিতিপ্রিয়া। তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে নিজেকে প্রকাশ করতে চলেছেন।
এটি তাঁর একদম ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। চরিত্র এবং চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে যা করণীয়, তাই তিনি করবেন বলেছেন।
দিতিপ্রিয়ার মতে, কোনো মানুষের পোশাক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত। ট্রোলাররা তা জেনেও ট্রোলিং করেন ভিউ-এর জন্য। তাই রটিয়ে দেওয়া হয় দিতিপ্রিয়ার মৃত্যুর মিথ্যা গুজব। নববধূর ছবিতে গ্রাফিক্সের সাহায্যে বসিয়ে দেওয়া হয় দিতিপ্রিয়ার মুখ। কারণ এর ফলে অনেকের মার্কেটিং-এর সুবিধা হয়ে যায়। ইচ্ছা থাকলেও তা বাধা দেওয়ার ক্ষমতা দিতিপ্রিয়ার নেই।
View this post on Instagram