Madhya Pradesh: মুক্তি চান স্ত্রী স্বামীর প্যারোলে, মা হওয়ার জন্য

Published By: Khabar India Online | Published On:

একটি খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হন স্বামী বিয়ের কিছু দিন পর পরই। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। প্রায় সাত বছর ধরে জেলে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে মা হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় এবার স্বামীর প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন স্ত্রী। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে।

স্ত্রী দাবি করেছেন, তিনি মা হতে চান। সে জন্যই তার স্বামীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হোক। মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রায় ৭ বছর ধরে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র শহরের সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন এক ব্যক্তি। সম্প্রতি ওই ব্যক্তির স্ত্রী তার স্বামীর জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়ার আবেদন করেছেন। আবেদনে ওই নারী উল্লেখ করেছেন, তিনি একটি বাচ্চা চান,  তাই তার স্বামীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হোক।

আরও পড়ুন -  Kalighater Kaku Arrested: কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ইডির হাতে গ্রেফতার, জাল গোটাচ্ছে ইডি, এবার কি রাঘব বোয়ালদের সময়?

জেলে বন্দি ওই ব্যক্তির নাম দারা সিং জাটাভ। শিবপুরি থেকে আসা ওই নারী এবং তার পরিবার গোয়ালিয়র জেল কর্তৃপক্ষের কাছে বলেছে, দারা সিং জাটাভকে তার বিয়ের পরপরই একটি হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

প্যারোলে মুক্ত হতে চাইলে আবেদনের সময় নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হয়। জেলবন্দি ব্যক্তির স্ত্রীও সেই আবেদন জানিয়েছেন,  সেখানে কারণ হিসাবে তিনি লিখেছেন, মা হতে চাইছেন তিনি।

আরও পড়ুন -  জাতীয় ক্রীড়া দিবসে খেলোয়াড়দের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা; মেজর ধ্যান চাঁদকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন

কারাগারে বন্দি দারা সিং জাটাভের বাবা করিম সিং জাটাভ জানিয়েছেন, সাত বছর আগে পুলিশ যখন তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে তখন তার পরিবার ছেলের বিয়ের উৎসবও করতে পারেনি। করিম সিং আরো বলেন, তিনি ও তার অসুস্থ স্ত্রী একটি নাতি চান, আর এর জন্যই তারা তাদের ছেলেকে কিছু দিনের জন্য জেল থেকে বের করতে চান।

আরও পড়ুন -  Arrested In Germany: জার্মানিতে গ্রেপ্তার, লুধিয়ানায় আদালতে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত

বন্দি দারা সিং জাটাভের প্যারোলে মুক্তির আবেদনপত্র বিবেচনার জন্য শিবপুরির এসপির কাছে পাঠানো হয়েছে।

এই বিষয়ে গোয়ালিয়র সেন্ট্রাল জেলের সুপারিনটেনডেন্ট বিদিত সিরভাইয়া বলেছেন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যে কোনো বন্দি তার বন্দিত্বের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পরে প্যারোল মুক্তি পাওয়ার অধিকার থাকে। অবশ্য সেক্ষেত্রে অন্য বন্দিদের ও জেল কর্তৃপক্ষের সাথে তার আচরণ ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হতে হবে। কোনও বন্দির প্যারোল মঞ্জুর করা বা না করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন জেলা কালেক্টর।

সূত্রঃ ইন্ডিয়া টুডে