পাঞ্জাব পুলিশের একটি দল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং পকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানের বাসভবনে তল্লাশির জন্য গিয়েছে। পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের একটি সন্ত্রাসবাদ দমন আদালত থেকে জারি করা পরোয়ানার (সার্চ ওয়ারেন্ট) ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে এ অভিযান।
পুলিশের সুপারিন্টেডেন্ট পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা এই তল্লশি অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে শুক্রবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে।
গত ৯ নভেম্বর ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দু’টি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। পাকিস্তানের আধা সামরিক এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্স ও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো’র (ন্যাব) একটি যৌথ দল আলোচিত আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর নজিরবিহীন বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তার দল পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা। দেশজুড়ে সামরিক-বেসামরিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন এবং স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেন তারা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিন পান ইমলান খান। এছাড়া বিগত কয়েক দিনে আরও বেশ কয়েকটি মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। এমনকি লাহোরের যে সন্ত্রাসবিরোধী আদালত ইমরান খানের বাসভবনে তল্লাশির পরোয়ানা ইস্যু করেছেন, সেই আদালতই শুক্রবার ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩টি সন্ত্রাসী মামলায় জামিন দিয়েছেন তাকে।
ইমরান খানের ব্যক্তিগত বাসভবন পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের অভিজাত এলাকা জামান পার্কে। বর্তমানে সেখানেই আছেন তিনি। বুধবার পাঞ্জাব রাজ্যসরকারের ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকার অভিযোগ করে করে, ইমরানের বাসভবনে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী আত্মগোপন করে আছেন। তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে ইমরান খানকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সেই আল্টিমেটামের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ইমরান খানও এখন পর্যন্ত এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্যও করেননি।
আল্টিমেটামের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবারই পাঞ্জাবের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্যমন্ত্রী আমির মির ইমরানের বাসভবনে পুলিশি তল্লাশির ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, আমরা ইমরান খানের সঙ্গে মুখোমুখী কোনো ঝগড়া বিবাদে যেতে চাই না। লাহোর পুলিশ কমিশনারের তত্ত্বাবধানে পুলিশের একটি দলকে আমরা ইমরান খানের বাসভবনে পাঠাব। আশা করছি ইমরান খান তাদের সহযোগিতা করবেন।