ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র আতঙ্ক এখন বাংলায় নেই। সুপার সিভিয়ার সাইক্লোন হয়ে সেটি বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের উপর আছড়ে পড়ছে গতকাল। সেখানে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের বলি হয়েছেন একাধিক মানুষ। তছনছ হয়েছে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের একাংশ। প্রায় এক হাজারের বেশি বাড়ি ভেঙেছে ঝড়ের জন্য। শক্তি হারিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। সেখানে এখন চলছে উদ্ধারকার্য।
‘মোকা’র বিদায়ে কি ফের বাতাসে বাড়বে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ? তেমনটা হলে কবে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা?
১) এখন কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে চলছে বৈশাখী তাপপ্রবাহ। ফের বেড়েছে তাপমাত্রা। এই সপ্তাহেই ফের স্বস্তি ফিরবে শহর কলকাতায়। ১৭ তারিখ থেকেই বদলে যেতে পারে আবহাওয়া, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৮ ই মে বিকেলের দিকে কালবৈশাখীর মুখ দেখতে পারে তিলোত্তমা।
বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে শহরজুড়ে। এই আবহাওয়া আগামী ২১ শে মে পর্যন্ত বজায় থাকতে পারে বলে জানা গেছে। এই বৃষ্টির ফলে ১৮ তারিখ থেকেই শহরের পারদ কমবে অনেকটাই। কিন্তু বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
২) আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৬ ই মে মঙ্গলবার থেকে ২০ মে অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গ ও তারপর ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও স্বস্তির বৃষ্টি পড়বে। একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পাশাপাশি বইবে ঝোড়ো হাওয়া। আগামীতে স্বস্তি ফিরবে জেলাতেও। মঙ্গলবারের আগে পর্যন্ত পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় জারি থাকছে তাপপ্রবাহ। বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই চলাফেরা করবে।
৩) ‘মোকা’র পরোক্ষ প্রভাবে কয়েকদিন আগে থেকেই ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে ভিজেছিল উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা। দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চললেও উত্তরবঙ্গে ছিল শান্তির স্বস্তি। আগামী কয়েকদিনে সেই স্বস্তি বজায় থাকবে বলেও জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। আগামী বুধবার থেকে বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা এবং দুই দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে মৌসম দফতর।