অন্যতম সৃষ্টি টেনিদা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সকলেরই ছোটবেলাকার স্মৃতির সাথে যুক্ত তার গল্প। এবার বড়পর্দায় সায়ন্তন ঘোষালের হাত ধরে ফিরছে টেনিদা। মুক্তি পেয়েছে ট্রেলার।
ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে দর্শকমহলের একাংশের মাঝে। তারা কোনোভাবেই নিজেদের প্রিয় চরিত্রে কাঞ্চন মল্লিককে মেনে নিতে পারছেন না। এখন সেই নিয়েই জোর তরজা চলছে মিডিয়ার পাতায়।
বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল টেনিদার ‘চারমূর্তি’ ১৯৭৮ সালে। সেই ছবিতে টেনিদার চরিত্রে চিন্ময় রায়কে দেখা গিয়েছিল। এছাড়া সন্তোষ দত্ত, রবি ঘোষ, শম্ভু ভট্টাচার্য এবং সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক কিংবদন্তি তারকাদেরও দেখা মিলেছিল।
সম্প্রতি সায়ন্তন ঘোষাল নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘ঝাউ বাংলোর রহস্য’ অবলম্বনেই তৈরি করছেন ‘টেনিদা অ্যান্ড কোম্পানি’। উল্লেখ্য, এই ছবিতে কাঞ্চন মল্লিকের পাশাপাশি দেখা মিলবে গৌরব চক্রবর্তী, সৌমেন্দ্র ভট্টাচার্য, সব্যসাচী চক্রবর্তী, সৌরভ সাহা, ঋদ্ধিমা ঘোষ এবং অরিন্দোল বাগচীর মতো টলি তারকাদের।
টেনিদা নিজের বিখ্যাত সংলাপ “ডি-লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক” এবং নিজের খাঁড়ার মত নাকের জন্য বিখ্যাত। টেনিদা ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না তার সঙ্গী সাথীদের। ক্রিকেট থেকে ফুটবল সবটাই তার নখদর্পণে। গল্প বলায় মাস্টার সে। সব মিলিয়ে নিমেষে হাসাতে এক্সপার্ট টেনিদা। এবার সেই টেনিদার চরিত্রেই পর্দায় দেখা যাবে কাঞ্চন মল্লিককে। সেই নিয়েই অসন্তোষ জেগেছে দর্শকদের একাংশের মাঝে।
সায়ন্তন ঘোষালের আসন্ন ছবি ‘টেনিদা অ্যান্ড কোম্পানি’র ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ‘টেনিদা’ কাঞ্চন তুমুল কটাক্ষের শিকার হয়েছেন মিডিয়ার পাতায়। কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, গল্পে টেনিদার পেটানো এবং বলিষ্ঠ চেহারার কথা বর্ণনা করা থাকলেও, কেন এমন রোগা অভিনেতাদের কাস্ট করা হয় টেনিদার চরিত্রে? আবার কারোর প্রশ্ন, ‘ঝাউ বাংলোর রহস্য’এ ভূতের কোন উল্লেখ নেই, এখানে ভূতের প্রসঙ্গ কোথা থেকে আসছে? কেউ আবার সরাসরি জানিয়েছেন, কাঞ্চন মল্লিককে টেনিদার বদলে প্যালার চরিত্রে ভালো মানাত।
কেউ সিনেমার থেকে কার্টুনকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার চিন্ময় রায়ের সাথে তুলনা করেছেন কাঞ্চনের। আবার অনেকের পছন্দ হয়েছে আসন্ন ছবির ট্রেলার, অপেক্ষায় রয়েছেন ছবি মুক্তির। সব মিলিয়ে বলাই যায়, টেনিদাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।