Pakistan: জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ১২, পাকিস্তানে পুলিশ দপ্তরে

Published By: Khabar India Online | Published On:

পুলিশ দপ্তরে দুটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ পুলিশ সদস্য নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে পাকিস্তানে।

সোমবার রাতে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকার কাবাল পুলিশ দপ্তরে এই ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরার।

কাবালের এক পুলিশ কর্মকর্তা শরিফুল্লাহ খান বলেছেন, সোয়াত উপত্যকায় কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্টে (সিটিডি) বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তার বিশ্বাস হচ্ছে না যে বিস্ফোরণগুলো ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড। সিটিডি ভবনের বেসমেন্টে বিস্ফোরক দ্রব্যে আগুন ধরে যাওয়ার পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন -  Iran: ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ১, হারে উচ্ছ্বাস, জাতীয় দলের

বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। এ বিস্ফোরণ আত্মঘাতী বোমা হামলা না পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে রাখা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য থেকে ঘটেছে, তা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে।

সোয়াত জেলা পুলিশের কর্মকর্তা সফিউল্লাহ গন্ধপুর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের কাছে এই বিস্ফোরণকে আত্মঘাতী বোমা হামলা বলে দাবি করেছেন।

প্রাদেশিক পুলিশের প্রধান আখতার হায়াত বলেন, ওই ভবনের বেসমেন্টে পুরোনো কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল। সেখান থেকেও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এটি কোনো সন্ত্রাসী হামলাও হতে পারে। তিনি জানান, নিহতদের অধিকাংশই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্য। এক নারী এবং তার শিশু সন্তানও প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনার সময় তারা ওই ভবনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন -  Lose Weight: কমবে ওজন, ব্যায়াম-ডায়েট ছাড়াই!

বিল্ডিং কমপ্লেক্সে কাবাল জেলা পুলিশ স্টেশন ও একটি রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের সদর দপ্তরও রয়েছে। মূল ক্ষতি হয়েছে কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট ভবনে।

প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত বলেন, অফিসে একটি পুরানো গোলাবারুদের দোকান ছিল। পুলিশ এটিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে নাকি এটি একটি হামলা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  ২৪ ঘণ্টায় ৩০০ জনের মৃত্যু গাজায়, প্রাণহানি বেড়ে ২২২৮

পুলিশ জানিয়েছে, অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করে সেখানকার সাইদু শরিফ টিচিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য হাসপাতালেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আজম খান প্রমুখ পৃথকভাবে নিন্দা এবং শোক জানিয়েছেন।

ছবিঃ সংগৃহীত।