সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন, তাইওয়ান ঘিরে। মহড়ার অংশ হিসেবে রবিবার এ অঞ্চলে যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজের সমাবেশ ঘটিয়েছে বেইজিং।
সামরিক মহড়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তাইপে। চীনের এই কর্মকাণ্ড রুখে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। এ অবস্থায় চীনকে সংযত আচরণের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বেইজিংয়ের পদক্ষেপগুলো ঘনিষ্ঠভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।
চীনের সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাইওয়ানের উত্তর এবং দক্ষিণ উপকূল ও পূর্বে তাইওয়ান প্রণালির সমুদ্রসীমা এবং আকাশসীমায় মহড়ার জন্য যুদ্ধবিমান, জাহাজ এবং সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে রবিবার বলা হয়েছে, তাইওয়ান এবং এর আশপাশের জলসীমায় প্রধান লক্ষ্যবস্তুগুলোয় হামলার মহড়া চালানো হয়েছে। মহড়ার অংশ হিসেবে তাইওয়ানের চারপাশ খুব কাছ থেকে ঘিরে রেখেছে চীনা সামরিক বাহিনী।
চীনের এই মহড়ার নিন্দা জানিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। একই সঙ্গে ‘কর্তৃত্ববাদী সম্প্রসারণবাদের’ মুখে যুক্তরাষ্ট্র এবং সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে তিনি কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, বেইজিংকে তাইওয়ান ইস্যুতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি এও বলেন, এশিয়ায় নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যথেষ্ট সম্পদ আছে।
চীনের দাবি, তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করে। দীর্ঘ দিন ধরে তাইওয়ানকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইপের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রও বিক্রি করেছে তারা। চীনের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
সূত্রঃ রয়টার্স, বিবিসি।