অটল পেনশন যোজনায় বড়ো কিছু পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ অক্টোবর থেকে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারী কোনও ব্যক্তি আর অটল পেনশন যোজনায় টাকা রাখতে পারবেন না।
তখন থেকেই আলোচনা হচ্ছিল যে, হয়তো এই স্কিমের অধীনে পেনশনের পরিমাণ বাড়তে চলেছে। পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (পিএফআরডিএ) এই বিষয়ে অর্থ মন্ত্রকের কাছে একটি সুপারিশও করেছে। এবারে সরাসরি সরকারের পক্ষ থেকেও উত্তর এসেছে এই মর্মে।
পেনশনের পরিমাণে কোনো বৃদ্ধি নেই।
সরকার প্রদত্ত উত্তরে জানা গিয়েছে, অটল পেনশন যোজনার অধীনে পেনশনের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব এখনো গ্রহণ করা হয়নি। এখনই কিন্তু এই পেনশন যোজনার টাকা বাড়ছে না। কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাদ বলেছেন যে, অটল পেনশন যোজনার অধীনে পেনশনের পরিমাণ একটুও বাড়ানো হয়নি। লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে ভাগবত কারাদ বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার অটল পেনশন যোজনার অধীনে পেনশনের পরিমাণ না বাড়ানোর সিদ্ধান্তই নিয়েছে। সকলের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
ভাগবত কারাদ বলেন, সরকার যদি পেনশনের পরিমাণ বাড়ায়, তাহলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, পেনশনের পরিমাণ বাড়ানোর ফলে অ্যাকাউন্টধারীদের বিনিয়োগের কিস্তিও বাড়বে। এমতাবস্থায় তাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। জানিয়ে রাখি, APY-তে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, PFRDA দ্বারা অটল পেনশন যোজনার পাঁচটি স্ল্যাবের অধীনে পেনশন বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।
পেনশন স্ল্যাব ১,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত।
জানিয়ে রাখি যে, সরকার অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য এই প্রকল্পটি শুরু করেছিল। বর্তমানে, এই স্কিমে বিনিয়োগ করার জন্য ১,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ৫টি পেনশন স্ল্যাব রয়েছে৷ তা বাড়িয়ে ১০,০০০ টাকা করার দাবি উঠেছিল।
সরকার এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে অস্বীকার করেছে। নিয়ম অনুসারে, ১৮ বছর থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে যে কোনও ব্যক্তি (আয়করদাতা ছাড়া) সরকারের এই পেনশন প্রকল্পে যোগ দিতে পারেন, ৬০ বছর বয়সের পরে প্রতি মাসে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পেতে পারেন।