আদালত চত্বরে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মামলা হয়েছে। রবিবার পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগে (সিটিডি) এ মামলা করা হয়েছে।
তোষাখানা মামলায় হাজিরা দিতে শনিবার ইসলামাবাদের দায়রা আদালতে উপস্থিত হন ইমরান। সেই সময় তার সমর্থকরা আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। তারপর পুলিশের সঙ্গে পিটিআই কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। উত্তপ্ত জনতা আদালত চত্বরে ভাঙচুর, ইট-পাথর ছোড়া পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ইমরান খান আদালতের উদ্দেশে রওনা দেয়ার পরপর তার জামান পার্কের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে থাকা ইমরানের কর্মী-সমর্থকদের সরিয়ে দেয় তারা। ভারী সরঞ্জাম ব্যবহার করে ইমরানের বাড়ির ফটক ভেঙে ফেলা হয়। বেশ কয়েকজন পিটিআই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিটিআই চেয়ারম্যান এবং গ্রেপ্তারকৃত কর্মী, পলাতক নেতাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদসহ ১০টি অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, পিটিআইয়ের কর্মীদের হামলায় পুলিশের চেকপোস্ট ও আদালত ভবনের প্রধান ফটক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিসংযোগ, পাথর নিক্ষেপ ও আদালত ভবনে ভাঙচুরের অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি ভঙ্গের অভিযোগে আরও ১৭ জন পিটিআই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও বলা হয়, আদালত চত্বরে পিটিআই নেতাদের হামলায় ১৬ টি পুলিশের গাড়ি, চারটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ি থেকে ‘নাইন এমএম’ পিস্তল, বিশ হাজার টাকা এবং একটি ওয়্যারলেস সেটও নিয়ে গেছে।
আগে গত বুধবার ইমরানকে গ্রেপ্তারের জন্য লাহোরের জামান পার্কে তার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল পুলিশ। পরে ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সমর্থকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সমর্থকেরাও ইটপাটকেল ছোড়েন। অবশ্য সেদিন ইমরানকে গ্রেপ্তার করার কোনো সুযোগ পুলিশকে দেননি তার সমর্থকেরা।
সূত্রঃ দ্য ডন