সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকর। ‘কাঁচা বাদাম’ গান গেয়েই সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন বীরভূমের এই বাদামকাকু। আগে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাঁচা বাদাম বিক্রি করতেন। কাঁচা বাদাম বিক্রি করে যা উপার্জন হত সেই দিয়েই চলত সংসার। তার এই গান তাকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল। এনে দিয়েছিল অর্থ এবং সুনাম। এবার এই গানের জন্যই ঘরছাড়া বীরভূমের ভুবন বাদ্যকর।
বেশ কিছু সময় আগে তার কাছ থেকে গোপাল নামের এক ব্যক্তি ৩ লাখ টাকায় তার গানের সত্ত্ব কিনে নেন। তার গান আর তার নেই। এখন নিজের গান নিজে গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়লেও কপিরাইট খেয়ে যান তিনি। সেই নিয়েও এখন দুঃখের শেষ নেই।
গান গেয়ে ভালোই অর্থ উপার্জন করেছিলেন। ধীরে ধীরে অবস্থা ফিরছিল তার। কাঁচা বাড়ি থেকে বেরিয়ে বানিয়ে ছিলেন পাকা বাড়িও। সেখানেই নিজের পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। তার ঝলক একাধিকবার মিলেছে মিডিয়াতেই। এখন নিজের কষ্টের উপার্জনের টাকায় বানানো পাকা বাড়িও ছাড়তে হয়েছে তাকে। নিজের পরিবার নিয়ে উঠেছেন দুবরাজপুরের এক ভাড়া বাড়িতে। মাসে মাসে ২৭০০ টাকা গুনতে হয় ভাড়ায়।
কিছু চাঁদাবাজদের উৎপাৎ’ এই বাড়ি ছেড়েছেন ভুবন বাদ্যকর। তাদের কাছে একাধিকবার টাকা চাওয়ায় তারা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তারপরই ঘটে বিপত্তি। চাঁদা না দেওয়ায় তাদের বাড়ি থেকে জিনিসপত্র তুলে নিয়ে চলে যেতেন তারা। একবার বাদাম কাকুর ফোন নিয়ে চলে গিয়েছিলেন তারা। পরে অবশ্য ফেরতও দিয়েছিলেন। এই মুহূর্তে তাদের উৎপাতেই পরিবারসহ বাড়িছাড়া।
তিনি জানিয়েছেন, ছেলের রোজগারেই এখন চলছে সংসার। তার উপার্জনও খুব একটা বেশি নয়। এত অল্প উপার্জনে কিভাবে একটা গোটা সংসার তিনি চালাবেন সেই ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না। এখন সেভাবে আর গান গাওয়ার অনুষ্ঠানেও ডাকা হয় না তাকে। গানের সত্ত্ব বেচে দেওয়ার পর থেকে তার উপার্জনও প্রায় পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে রয়েছে।