কাজকর্ম সুষ্ঠু ভাবে চালানোর জন্য শক্তির দরকার। সেই শক্তি আসে খাবার থেকে। শরীরকে চালানোর জন্য যতটা ক্যালোরি দরকার, খাবারে যদি তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি থাকে, তা হলে মেদ জমবে। কম ক্যালোরি থাকলে, জমা মেদ থেকে শরীর শক্তি তৈরি করে নেবে। তার জন্য কমবে মেদের পরিমাণ। সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই ক্যালোরি-শূন্য খাবারের খোঁজ করেন।
ক্যালোরি-শূন্য খাবার বলে কিছু নেই। যদি এমন খাবার খাওয়া যায়, যাতে ক্যালোরির পরিমাণ শরীরের চাহিদার চেয়ে অনেকটা কম। মেদ ঝরানোর ডায়েটে কম ক্যালোরিযুক্ত কী খাবার রাখতে পারেন, সেই তালিকা দেখুন।
ওজন ঝরানোর ডায়েটে বেশি করে ফল রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কম ক্যালরিযুক্ত ফলের মধ্যে তরমুজ বেছে নিতে পারেন। প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে ক্যালোরি কাউন্ট ৩০। এতে ৯২ শতাংশ জলীয় উপাদান থাকে। তরমুজ খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকে মুক্ত পেতে পারেন।
ভরপুর ভিটামিন টমেটোতে রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম টোম্যাটোতে ক্যালোরির পরিমাণ ১৮। এতে রয়েছে লাইকোপিন যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে ও হার্ট ভাল রাখে। টমেটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ সলিউবল এবং ইনসলিউবল ফাইবার থাকে। ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সালাদ হোক কিংবা স্যুপ, স্বাস্থ্যকর ডায়েটে সেলারির খুব চাহিদা রয়েছে। ১০০ গ্রাম সেলারির ক্যালোরি কাউন্ট মাত্র ১৬। মৌসুমি সবজির সঙ্গেও রান্না করে খেতে পারেন। সেলারির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি ওয়ান, বি টু ও বি থ্রি যা কিডনির যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করে। ওজন কমাতে, রক্তের পরিমাণ বাড়াতে সেলারির খুব উপকারী।
ওজন কমাতে লো ক্যালোরি ডায়েট পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রাখুন শশা। ওবেসিটি হোক বা ডায়বিটিস, যে কোনও রোগে চিকিৎসকেরা শশা খাওয়ার পরামর্শ দেন। ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম, প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ১৬।
তরমুজের মতোই উপকারী এই ফলে প্রতি ১০০ গ্রামে ক্যালোরির পরিমাণ ৩৪। প্রচুর পরিমাণ জলীয় উপাদান থাকায় ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে রক্ষা করে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ফোলেট যা দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়।
ছবিঃ সংগৃহীত।