United States: ভিডিওতে প্রমাণিত, কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু, পুলিশের মারধরেই

Published By: Khabar India Online | Published On:

যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে মারধরে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার হিংসাত্মক মারধরের মর্মান্তিক ভিডিও প্রকাশ করেছে পুলিশ।

শুক্রবার অফিসারদের বুকে বসানো ক্যামেরা এবং গাড়ির ড্যাশবোর্ড ক্যামেরার ভিডিও প্রকাশ করেছে মেমফিস পুলিশ। যেখানে নির্যাতনের ছবি ফুটে উঠেছে। ভিডিও দেখা যাচ্ছে, নিকোলাস মাটিতে পড়ে রয়েছে এবং একজনকে তাকে লাথি মারতে দেখা গেছে। তাকে অন্তত তিনবার ‘মা’ বলে কাতরে উঠতে দেখা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও তার মুখে লাথি ও ঘুষি পড়া বন্ধ হয়নি।

 দীর্ঘ যে চারটি ভিডিও পাওয়া যায় এর মধ্যে একটি ভিডিও ক্লিপে নিকোলসকে চালকের আসন থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে তাকে জোর করে মাটিতে ফেলে দিতে দেখা গেছে। তার ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলেন এক অফিসার। সেই অবস্থায় অন্য একজন লাগাতার লাথি মেরে যাচ্ছেন। মার খাওয়ার সময় নিকোলাসকে বলতে দেখা যায়, ‘আমি কিছু করিনি। আপনারা এমন করতে পারেন না।’

আরও পড়ুন -  Pilot: পাইলটের রহস্যময় মৃত্যু, মাঝ আকাশ থেকে পড়ে

প্রবল মারধরে নিকোলাসকে মাথা গুঁজে পড়ে থাকতে দেখা যায়। একজন এসে তাকে তুলে বসিয়ে দেন পুলিশের গাড়িতে হেলান দিয়ে।

ভিডিওটি প্রকাশের পর শুক্রবার রাতে মেমফিসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়,বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারীকে মেম্ফিসে জড়ো হয়ে ‘বিচার নেই, শান্তি নেই’ স্লোগান দিতে এবং ‘গণদাবি: পুলিশি সন্ত্রাস বন্ধ কর’ প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন -  এই ওয়েব সিরিজ ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দিয়ে বিনোদন তৈরি করেছে, দেখলে ঘাম ঝরবে

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন টায়ার নিকোলাস নামের ২৯ বছরের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। সে সময় মেমফিস পুলিশ ডিপার্টেমেন্টের ৫ অফিসার নিকোলাসের গাড়ি আটকায়। পাঁচ জন পুলিশ অফিসার ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নিকোলাস। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০ জানুয়ারি সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও প্রতিবাদ শুরু হয়।

আরও পড়ুন -  ৫টি সেভেন এম এম পিস্তল, ৮o রাউন্ড কার্তুজ ও ১০টি ম্যাগাজিন, আটক আসিফের দুই বন্ধু

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি ভয়াবহ ভিডিওটি দেখে তিনি ‘ক্ষুব্ধ’ ও ‘গভীরভাবে বেদনাগ্রস্ত’ হয়েছেন।

মেমফিস পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে উঠে আসে অভিযুক্ত পাঁচ অফিসার অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছিলেন। এর পর পুলিশ বিভাগ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল ওই পাঁচ অফিসারকে।

বৃহস্পতিবারই তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে উত্তেজনাপূর্ণ আক্রমণ, অপহরণ, অফিসিয়াল অসদাচরণ ও অফিসিয়াল নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। ওই পাঁচ পুলিশ অফিসারও কৃষ্ণাঙ্গ।

ছবিঃ সংগৃহীত