ফুটবল জগতের বিশাল ব্যক্তিত্ব, এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। ‘জেসাস ক্রাইস্ট, পেলে আর কোকা কোলা…।’ পৃথিবীতে এই তিনটে শব্দের প্রচার সব থেকে বেশি হয়েছিল এক সময়।
সেই সময় কোন এক জন সাংবাদিক এই কিংবদন্তিকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কি নিজেকে ‘জেসাস ক্রাইস্ট’ মনে করেন নাকি? পেলে হেসে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলেছিলেন যে, তাতো আমি কোনদিন বলিনি। তার মত আমার নাম ছড়িয়ে পড়বে পৃথিবীর প্রত্যেকটি কোনায়।
দিয়েগো মারাদোনার পর বিশ্বকে বিদায় জানালেন কিংবদন্তি ফুটবল সম্রাট পেলে। খবর সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার হতেই শোকের ছায়ায় ঢেকে গেছে গোটা পৃথিবী। কিংবদন্তি ফুটবল প্লেয়ার পেলে আর নেই, এই কথা মেনে নিতে পাচ্ছেন না তার ভক্তরা।
ব্রাজিল ভক্তদের জন্য পেলে যে নিজেই একটা ব্রান্ড সে কথা বলে দিতে হয় না। শুরুটা ১৯৫৮ সুইডেন বিশ্বকাপ দিয়ে। এরপর চারটি বিশ্বকাপে নিজেকে ফুটবল প্রেমীদের মাঝে অনন্য রূপে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৩৬৩ ম্যাচে ১২৮১টি গোল! যা কোন ফুটবলের ব্যক্তিত্ব এমনিতেই প্রকাশ করে।
১৯৭৩ সালে প্রথমবার স্যান্টোসের হয়ে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় শরীরে মারণ রোগের থাবা বসে তার। পাশাপাশি সৃষ্টি হয় হৃদযন্ত্রে সমস্যা। সারা শরীরে বিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারদের দেওয়া অসংখ্য চোট-আঘাত তাঁকে দমাতে পারেনি। তবে ক্যান্সারের কাছে তাঁর কৃষ্ণাঙ্গ, সুঠাম শরীর বশ মেনে নিয়েছিল। ৮২ বছরের পেলে বাকি সবার মত চেয়েছিলেন মাঠে বসে উপভোগ করবেন কাতার বিশ্বকাপ। তবে শরীর সঙ্গ দেয়নি তার। অবশেষ পড়ে রইলো সব।