আমরা বাড়িতে বিভিন্ন প্রাণী পুষে থাকি। কুকুর, বেড়াল,খরগোশ, মাছ বা পাখি সাধারণত এই প্রাণীগুলকেই আমরা পুষি। তারা হয়ে ওঠে আমাদের পরিবারের সদস্য। এই প্রাণীরা নিজেদের ভালো-মন্দ না বলতে পারে, না তাদের কষ্ট বুঝাতে পারে। তাদের শরীরের দিকে একটু বেশিই খেয়াল রাখা দরকার। আবহাওয়ার পরিবর্তনে যেমন মানুষের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়, পোষ্যদেরও এই সময়ে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। পশু চিকিৎসকদের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তন তো আটকানো যায় না। তাই চারপেয়েদের সুস্থ রাখতে শীত পড়ার আগে থেকেই কিছু সচেতনতা হওয়া দরকার।
নজরদারি
পোষ্যকে রক্ষা করা এই সময়ে বাতাসে নানা রকম রোগ-জীবাণুর পরিমাণ যেমন বেড়ে যায়, তাই পোষ্যের ত্বকে পরজীবী আক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। শীতকালে পোষ্যদের বেশি স্নান করাতে চান না অনেকে। নিয়মিত পরজীবীনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার না করলে তাদের আক্রমণ ঠেকানো সম্ভব নয়। পোষ্যের ঘন লোমের মধ্যে পরজীবী বাসা বাঁধে, তা নির্মূল করা মোটেও সহজ নয়। পরজীবীদের আক্রমণে পোষ্যদের জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে।
কৃমিনাশকের ব্যবস্থা করা পোষ্যদের শরীরে কৃমির আক্রমণ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। নিয়মিত কৃমিনাশকের ব্যবস্থা করতেই হয়। আবার কৃমিরও বিভিন্ন ধরন আছে। সেই বুঝে নির্ধারণ করা হয় তার চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট ব্যয়বহুলও। সাথে পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া ও সঠিক সময়ে টিকা দেওয়া দরকার।
টিকা নেয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সন্তান জন্মের পর পরই যেমন বেশ কিছু টিকা নিতে হয়, তেমন বাড়ির চারপেয়েদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি এক। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।