ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সম্পর্কে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ককে আরও গভীর করার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিন দিনের সফরে সৌদি আরবে গেছেন। শি-এর এই সফরে একগুচ্ছ কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সম্পর্ক আরও গভীর করেছে সৌদি আরব ও চীন।
সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, সফরের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন শি জিনপিং। দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও সরাসরি বিনিয়োগ এবং টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ে নিয়েও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের নেতারা সৌদি ভিশন–২০৩০ ও বেইজিং রোড অ্যান্ড ইনিশিয়েটিভের লক্ষ্য অর্জনের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
এসপিএ আরও জানিয়েছে, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে ২৯.২৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গত বুধবার রিয়াদে পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে চীনা নেতা তার তৃতীয় বিদেশ সফরে আসবেন এবং ২০১৬ সালের পর সৌদি আরবে এটি তার প্রথম সফর। দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক, কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণে এই সফর।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, সৌদি আরবে রাষ্ট্রীয় সফরে, শুক্রবার গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সম্মেলনে যোগ দেবেন শি জিনপিং। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে চীনের প্রেসিডেন্টের। এরমধ্যে রয়েছেন, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং সুদানের নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস, চীন-আরব রাষ্ট্র সম্মেলনকে চীন-আরব দেশগুলোর সম্পর্কের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসাবে বর্ণনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের মাত্রা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সূত্রঃ রয়টার্স, আল জাজিরা। ছবিঃ সংগৃহীত।