হাইভোল্টেজ ম্যাচে স্পেনের সাথে ১-১ গোলে ড্র করল চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।
ম্যাচের শুরু থেকে জার্মানির তুলনায় পাওয়ার ফুটবল খেলে স্পেন। প্রথম ম্যাচে ৭ গোল করেছিল স্পেন, তখন অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল জার্মানরা। ৪-১-২-৩ ফর্মেশনে দল নামিয়েছিল স্পেন। অন্যদিকে ৪-২-৩-১ বল নামিয়েছিল জার্মানি।
১৯৮৮ সালের পর থেকে জার্মানির বিপক্ষে স্প্যানিশদের পাল্লা ভারী। এই নিয়ে পাঁচবার জার্মানির মুখোমুখি হলো স্পেন। লা রোখা ব্রাজিলের বিরুদ্ধেও বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে। প্রথম তিনটি সাক্ষাতে জার্মানদের পরাস্ত করতে না পারলেও ২০১০ সালের সেমিফাইনালে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। খেতাবও জেতে স্পেন। ১২ বছর পর বিশ্বকাপের আসরে অবশ্য এদিন ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো স্পেনকে।
৬ মিনিটের মাথায় স্পেনের ড্যানি ওলমোর শট জার্মান গোলরক্ষকের হাতে লেগে পোস্টে লাগল। অবশ্য জার্মানির ডিফেন্ডার রুডিগার হেডে গোল করলেও অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
গুন্ডগান, নর্বি, কিমিচদের মত ফুটবলার থাকলেও জার্মান দলকে নিজেদের পাসিং ফুটবল দিয়ে চাপে রেখেছিল স্প্যানিশরা। জার্মানি যে কোস্টারিকা নয় সেটা বিলক্ষণ জানা ছিল স্পেনের ম্যানেজার এনরিকের। আসেনসিও, পেড্রি, গাভিরা নিজেদের ডিফেন্স বাঁচিয়ে আক্রমণে উঠছিলেন।
ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ফেরান তোরেসের জায়গায় স্ট্রাইকার মোরাটাকে নামিয়ে দেয় স্পেন। গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল জার্মানরা। কিমিচের শট সেভ করেন গোলরক্ষক উনাই। ৬৩ মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। ডেভিড আলবার ক্রস থেকে ফ্লিক করে বল জালে পাঠান মোরাটা।
কোকে এবং উইলিয়ামসকে এরপর একসঙ্গে মাঠে নামিয়ে দেন এনরিকে। ৭০ মিনিটে একসঙ্গে তিনটে পরিবর্তন নেয় জার্মানি। ৮৩ মিনিটে এর সুফল পেল তারা। সানে, জামাল হয়ে ফুলক্রুগ – বল জোরালো শটে জড়িয়ে গেল জালে।
ছবিঃ ইন্টারনেট।