যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া সোমবার সর্ববৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে, শেষ হবে আগামী শুক্রবার।
মহড়া শুরুর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়ে উত্তর কোরিয়া বলছে, পিয়ংইয়ংয়ের ওপর পরমাণু হামলা চালানোর প্রস্তুতি হিসেবে দুই দেশ এই বিমান মহড়া চালাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এই বিমান মহড়াকে আগ্রাসনমূলক যুদ্ধ-মহড়া হিসেবে উল্লেখ করেন, যার লক্ষ্য হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো। যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ারি দিয়ে মুখপাত্র বলেন, এই ধরনের কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রকে মারাত্মক প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।
উত্তর কোরিয়ার মুখপাত্র বলেন, বিশ্বের কোথাও আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এই ধরনের আগ্রাসী চরিত্রের কোনো সামরিক মহড়া পরিচালনা করতে দেখিনি। কোথাও তারা এত দীর্ঘ, বিশাল পরিসরে ও এত বিমান জড়ো করে মহড়া পরিচালনা করে না। বিশাল ও দীর্ঘ এই মহড়া পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র এটাই দেখিয়েছে যে, তারা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু হামলার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামে অভিহিত, মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার এই মহড়ায় উভয় দেশই শত শত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে।
উত্তর কোরিয়ার মুখপাত্র দাবি করেন, এই মহড়াগুলি আমাদেরকে সামরিকভাবে উসকানি দিয়ে পাল্টা ব্যবস্থা প্ররোচিত করছে। তিনি বলেন, আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব, আমাদের জনগণের নিরাপত্তা এবং আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে বাহ্যিক সামরিক হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
সূত্রঃ আরটি। ছবিঃ সংগৃহীত।