ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য ডাকা সেনা সমাবেশ শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে রাশিয়া। এক চতুর্থাংশেরও বেশি সৈন্যকে ইতিমধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়।
শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু এই কথা জানিয়ে বলেন, রিজার্ভ সেনাদের ডেকে পাঠানোর কর্মসূচি শেষ হয়েছে।
ক্রেমলিনে একটি টেলিভিশন বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, ৩ লাখ সেনা সমাবেশের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর সেনা সমাবেশ করার পরিকল্পনা নেই। পুতিনকে তিনি জানিয়েছেন, ৮২ হাজার সৈন্যকে কমব্যাট জোনে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করারপর সাম্প্রতিক মাস গুলোতে পিছিয়ে পরে রুশ সেনারা। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর গত সেপ্টেম্বরে পুতিন ইউক্রেনে আংশিক সেনা সমাবেশ করার ঘোষণা করেন। তখন ক্রেমলিন জানায়, নতুন করে তিন লাখ রিজার্ভ সেনাকে ডেকে পাঠানো হবে। ঘোষনার পরই যুদ্ধে যাওয়া এড়াতে হাজার হাজার রাশিয়ান পুরুষ দেশ ছেড়ে পালায় এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে জনগণের বিক্ষোভের জন্ম দেয়।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার রাশিয়ার ঘোষণার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, সেনা সমাবেশে লক্ষ্য সম্পূর্ণ হয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, মস্কোর বাহিনীর দুর্বল পারফরম্যান্সের অর্থ আরও সৈণ্য প্রয়োজন হতে পারে।
জেলেনস্কি একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমাদের কাছে রিপোর্ট রয়েছে যে, শত্রুরা তাদের সংঘবদ্ধতা সম্পন্ন করেছে এবং নতুন করে সেনা সমাবেশের আর প্রয়োজন নেই। তবে আমরা অনুমান করি যে খুব শীঘ্রই রাশিয়ার জন্য একটি নতুন সেনা সমাবেশের প্রয়োজন হবে।
সূত্রঃ আল জাজিরা, রয়টার্স। ছবিঃ সংগৃহীত।