Economy: ইউক্রেনের অর্থনীতি, রাশিয়ার চেয়ে আট গুণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে

Published By: Khabar India Online | Published On:

রাশিয়ার সাথে চলতি সংঘাতের কারণে ইউক্রেন অর্থনৈতিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।

বিশ্ব ব্যাংক বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে রাশিয়ার জিডিপি শতকরা ৪.৫ ভাগ কমে গেছে। চলমান সংঘাতের কারণে ইউক্রেনের জিডিপি এর চেয়ে আট গুণ অর্থাৎ শতকরা ৩৫ ভাগ কমে যাবে।

বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, এই সংঘাতের কারণে ইউক্রেনের উৎপাদন সক্ষমতা ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে দেশটিকে একপ্রকার রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বাধ্য করছে। রাশিয়া বারবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখলে তাতে সংঘাত শুধু দীর্ঘস্থায়ী হবে বাস্তব অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না।

আরও পড়ুন -  Paris Olympics: বয়কট করতে পারে ৪০ দেশ, প্যারিস অলিম্পিক

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে রাশিয়ার সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৩৪৯ বিলিয়ন ডলার। যা ইউক্রেনের যুদ্ধ-পূর্ব অর্থনীতির আকারের ১.৫ গুণ বেশি।

রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর আগেই ইউক্রেন ছিল পূর্ব ইউরোপের সবচেয়ে গরিব দেশ। এই অবস্থায় ইউক্রেনকে বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা জরুরি বলে মন্তব্য করেন ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আনা বিজার্ডে।

আরও পড়ুন -  Ukraine: ৩২ সাংবাদিক নিহত রুশ হামলায়ঃ ইউক্রেনের তথ্যমন্ত্রী অলেকসানডার টিকাচেনকো

 ইউক্রেনের অর্থনীতির জন্য বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছেলো জুনে ৪৫.১ শতাংশ কমে যাবে। সেই তুলনায় দেশটির ভাল করেছে। এখন বিশ্ব ব্যাংক আশা করে যে ইউক্রেনীয় অর্থনীতি ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধিতে ফিরে আসবে, ৩.৩ শতাংশ প্রসারিত হবে। যদিও এটি অত্যন্ত অনিশ্চিত এবং যুদ্ধের উপর নির্ভর করবে।

আরও পড়ুন -  UEFA: উয়েফার নিষেধাজ্ঞা বহাল, রাশিয়ার ওপর

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়ান অর্থনীতি উভয় বছরই সঙ্কুচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২২ সালে ৪.৪ শতাংশ এবং পরের বছর ৩.৬ শতাংশ। গত জুনে বিশ্ব ব্যাংক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে রাশিয়ান অর্থনীতি এই বছর আরও খারাপ হবে, ৮.৯ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে। জ্বালানি-উৎপাদনকারী রাশিয়ান অর্থনীতি আশ্চর্যজনকভাবে স্থিতিস্থাপক প্রমাণিত হয়েছে, তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।

সূত্রঃ  এপি। ফাইল ছবি।