মার্শা আমিনীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে চলা বিক্ষোভকালে অন্তত ৯২ জন নিহত হয়েছে। ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে আটক আমিনীর (২২) মৃত্যুর পর দেশজুড়ে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নারীদের বিক্ষোভে পুরুষেরাও অংশ নিচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় দেড়শো শহরে ইরানী নারীদের আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
অসলো ভিত্তিক আইএইচআর বলেছে, বিক্ষোভে অংশ নেয়া অন্তত ৯২ জন প্রাণ হারিয়েছে। সংস্থাটি ইন্টারনেট ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা নির্ণয়ে কাজ করছে। এর আগে লন্ডন ভিত্তিক অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ৫৩ জনের প্রাণহানির খবর জানিয়েছিল। গত সপ্তাহে ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ এজেন্সি বলেছিল, বিক্ষোভে প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছে।
ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পর নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। মার্শা আমিনীর হিজাব ঠিকমতো পরা হয়নি এই কারণ দেখিয়ে নৈতিকতা পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশী হেফাজতেই মারা যায়। এরপর থেকে দুসপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকালে ইরানী নারীরা হিজাব পুড়িয়ে, নিজেদের চুল কেটে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও অব্যাহত।
দরিদ্র অঞ্চল সিস্তান-বেলুচিস্তানের পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে একজন বেলুচ কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগের কারনে ওই এলাকায় বিক্ষোভ তীব্র রূপ নেয়। শুক্রবার ওই এলাকায় রিভ্যুলিশনারি গার্ডের পাঁচ সদস্য নিহত হয়।
আইএইচআরের পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোঘাদ্দাম ইরানী বিক্ষোভকারীদের হত্যা বন্ধে ইসলামিক রিপাবলিকের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তাদের আচরণ মানবতা বিরোধী অপরাধ।
সূত্রঃ বাসস। ছবিঃ সংগৃহীত।