প্রথম দেশ হিসেবে ৫জি যুগে প্রবেশ করেছে ভারত। শনিবার রাজধানী দিল্লির প্রগতি ময়দানে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস প্রর্দশনিতে এক অনুষ্ঠানে ৫জি পরিষেবা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের টেলিযোগাযোগ দপ্তরের (ডিওটি) একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে রাজধানীতে এবং আগামী ২৪ অক্টোবর দীপাবলী উৎসবের পর মুম্বাই, চেন্নাইসহ ভারতের ১৩টি শহরে চালু হবে এই পরিষেবা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশটির ৮০ শতাংশ ভারত ফাইভ জি নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে আশা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
৫জি লঞ্চের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, দেশ ইতিহাস তৈরি করছে। ভারত ২জি, ৩জি, ৪জি-এর জন্য বিদেশী দেশগুলির উপর নির্ভরশীল ছিল কিন্তু ৫জি, দিয়ে দেশ ইতিহাস তৈরি করছে। মোদি আরও বলেন, মানুষ ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার ধারণা নিয়ে হেসেছিল কিন্তু আজ আমরা সফল। ২০১৪ সালে, শুধুমাত্র ২টি মোবাইল উত্পাদন সুবিধা ছিল, আজ সেই সংখ্যা দাড়িয়েছে ২০০ টিরও বেশি।
সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্র সরকার মোট ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার টেলিকম স্পেকট্রাম নিলামের সিদ্ধান্ত নেয়। নিলামে সকলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় মুকেশ আম্বানির জিও। ৮৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকার টেলিকম স্পেকট্রাম কেনে জিও। এয়ারটেল কেনে ৪৩ হাজার ৮৪ কোটি টাকা টেলিকম স্পেকট্রাম। বাকি স্পেকট্রাম কেনে ভোডাফোন-আইডিয়া।
২০১০ সালে ভারতে প্রথম ৪জি পরিষেবা আসে। সমস্ত গ্রাহকের কাছে পৌঁছতে বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেছে। তবে ৪জি নেটওয়ার্ক দেশে টেলিকম সেক্টরে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। সেই গতি আরও বাড়িয়ে দেবে ৫জি। শুধু ডেটার গতি নয়, ভারতীয়দের ভার্চুয়াল রিয়ালিটি জগতের সঙ্গে পরিচয় করাবে। মেটাভার্স থেকে গেমিং অভিজ্ঞতা সবকিছুই আরও উন্নত মানের হতে চলেছে এই পরিষেবার অধীনে।
সূত্রঃ এনডিটিভি। ছবিঃ সংগৃহীত।