২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা ও মুদ্রাপাচার মামলায় বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আর্থিক দুর্নীতির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অ্যানফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)।
গতকাল বুধবার অভিনেত্রীকে টানা আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মন্দির মার্গ থানায় আসেন জ্যাকুলিন। রাত ৮টার কিছু আগে বের হয়ে যান তিনি। খবর এনডিটিভির।
সংবাদমাধ্যমের খবর, এই মামলার মূলহোতা সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিষয়েও তদন্ত করছে ইডি।
পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (তদন্ত) রবীন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, কোটি কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়ে চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে সেখানে জ্যাকুলিনের সম্পৃক্ততা বা ভূমিকা কী, তা জানতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে অভিনেত্রী যেসব উপহার পেয়েছেন সেগুলোর বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকুলিনকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি ও পিঙ্কি ইরানিকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি।
গত আগস্টের মাঝামাঝি অর্থপাচার মামলায় দিল্লির একটি আদালতে জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেয় ইডি।
আগে দিল্লির এক ধনকুবেরের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটিরও বেশি টাকা প্রতারণা করে আত্মসাতের অভিযোগে চন্দ্রশেখরকে গ্রেফতার করা হয়। তার অর্থপাচার নিয়ে তদন্তে নামে ইডি।
বিপুল পরিমাণ এই অর্থ চন্দ্রশেখর আত্মসাৎ করেছেন বলে ইডির প্রথম চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়। আগস্টের সম্পূরক চার্জশিটে বলা হয়, ওই অর্থ থেকে জ্যাকুলিনকে ৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যের উপহার দেন চন্দ্রশেখর। এর পরই অর্থ কেলেঙ্কারিতে জ্যাকুলিনকে অভিযুক্ত করা হয়। তার পাওয়া সব উপহার যে অপরাধের অর্থে কেনা সে বিষয়ে সচেতন ছিলেন অভিনেত্রী। এছাড়া জ্যাকুলিনের পরিবারকেও নাকি বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছেন চন্দ্রশেখর।
এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছিল, চন্দ্রশেখর চাঁদাবাজিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আয় থেকে জ্যাকুলিনকে ৫ কোটি ৭১ লাখ টাকার বিভিন্ন উপহার দিয়েছেন। যার মধ্যে ৫২ লাখ টাকা দামের একটি ঘোড়া এবং ৯ লাখ টাকার একটি পার্সিয়ান বিড়াল। ইডির দাবি, ২০১৭ সাল থেকে চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকুলিনের পরিচয়।
কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল হয়েছিল গত বছরের নভেম্বরে।