গত এপ্রিলে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। টুইটার কতৃপক্ষের সঙ্গে দ্বন্ধের জেরে সেই চুক্তি থেকে মুখ ফিরিয়ছিলেন। এই নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। এর মাঝেই ইলন মাস্কের ‘বাই আউট’ চুক্তিতে অনুমোদন দিল টুইটারের শেয়ার হোল্ডাররা।
মঙ্গলবার টুইটারের তরফে, জানানো হয়েছে ইলনের এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন বেশিরভাগ শেয়ার হোল্ডাররা।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে টুইটারের সদর দপ্তর থেকে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বিনিয়োগকারীরা মাস্কের কাছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার মূল্যে মালিকানা বিক্রির চুক্তি অনুমোদন করেন। এই বিষয়ে সেখানে ভোটাভুটি হয়। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব ভোট পড়ে যায়। ফলাফলে দেখা যায়, বেশিরভাগ ভোটই পড়েছে ইলন মাস্কের প্রস্তাবের পক্ষে।
টুইটারের সিইও ইলনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলেন। সেই সময় মাস্ক পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন, এই চুক্তির সময় সংস্থার তরফে তাকে সংস্থার বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য় দেওয়া হয়েছিল।
চুক্তি ভাঙার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন, টুইটারে জাল বা স্প্যাম অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশ করার আবেদন করেছিলেন ইলন মাস্ক। সেই বিষয়ে টুইটার কোনও মন্তব্য করেনি। সেই কারণেই এই চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে তিনি দাবি করেন। স্পষ্টভাবে জানিয়েও দিয়েছিলেন স্প্যাম অ্যাকাউন্টের নিষ্পত্তি না হলে তিনি এই চুক্তি করবেন না। এইসব অভিযোগ তুলে টুইটার কিনে নেওয়ার চুক্তি থেকে সরে আসেন ইলন মাস্ক।
গতকালের ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে টুইটারের অংশীদারেরা এখন আদালতে মাস্ককে চাপে ফেলার জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর মানে হলো, এখন আদালতে ইলন মাস্ককে কোম্পানিটির মালিকানা কেনাতে বাধ্য করার চেষ্টা করবে টুইটার।
আগামী অক্টোবরে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের আদালতে টুইটার কর্তৃপক্ষ ও ইলন মাস্ক মুখোমুখি হবেন। এখন আদলতই সিদ্ধান্ত নেবে, ইলন মাস্ককে টুইটার কিনতে হবে কি না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে টুইটারের মূল্যমান ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার, যা ইলন মাস্কের প্রস্তাবের (৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার) চেয়ে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার কম।
সূত্রঃ বিবিসি।