স্পষ্ট করল নির্বাচন কমিশন, ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক না করালে কি হবে?

Published By: Khabar India Online | Published On:

নির্বাচনী আইন সংশোধন বিলে ভোটার আইডির সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করার একটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল গত বছর। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে লোকসভায় ধনী ভোটের মাধ্যমে এটি পাস হয়। এই প্রক্রিয়া কোনভাবে বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ভোটার আইডি সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করানোর জন্য অভিযান শুরু করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ ওঠে, ভোটার আইডি সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক না করলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাবার কথা বলেছেন বুথ স্তরের অনেক আধিকারিক। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে ধরা পড়েছিল অসন্তোষের ছবি। তাই এবারে আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটের আইডি কার্ড যুক্ত করার বিষয়টি কোন ভাবেই বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়ে দিলেন নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন -  Nepal: মৃত্যু বেড়ে ২২, নেপালে ভূমিধসে

আধারের মতো এবারে ডিজিটাল ভোটার কার্ড হতে চলেছে ভারতের সাধারণ নাগরিকের জন্য এবং সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নেওয়া যাবে যখন খুশি। আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু সংসদে জানিয়েছিলেন, ভোটার আইডির সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক নয়। তবে আগস্ট মাস থেকে আধারের সঙ্গে ভোটার আইডি কার্ড যুক্ত করার জন্য প্রচার অভিযান শুরু করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের তথ্য মেলানো শুরু হয় এবং এই নিয়েই শুরু হয় বিভ্রাট।

আরও পড়ুন -  Voter Card: অনলাইনে আবেদন করুন ভোটার তালিকায় নাম যোগ করতে, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি জানুন

 গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, বহু মানুষকে আধারের সঙ্গে ভোটার আইডি কার্ড যুক্ত করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এরপরেই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, পুরো বিষয়টি ঐচ্ছিক এবং যদি সেই ব্যক্তি চান তবেই কিন্তু ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করাতে পারেন।

আরও পড়ুন -  সময়সীমা বাড়লো, আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড লিঙ্ক, বড়ো স্বস্তি সাধারণ মানুষের

নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার আইডি কার্ড সংযুক্ত থাকলে কোন ব্যক্তি যদি একাধিক নির্বাচনী এলাকায় নাম রেজিস্ট্রেশন করান, তা সনাক্ত করতে সুবিধা হবে কমিশনের।

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, সংবিধানের ২৩ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটারদের থেকে তাদের আধার কার্ড সংগ্রহ করার উদ্দেশ্য হলো ভোটারদের পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করা। তবে অন্যদিকে চালু করা হচ্ছে ডিজিটাল ভোটার কার্ড।