ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি বিলুপ্তির পথে

Published By: Khabar India Online | Published On:

গ্রামবাংলার এক সময়ের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল গরুর গাড়ি। নতুন প্রযুক্তির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ঘটছে, হারিয়ে যাচ্ছে অতীতের ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, আজ বিলুপ্তির পথে।

গরুর গাড়ি হলো দুই চাকাবিশিষ্ট যান বিশেষ, যা গরু বা বলদ টেনে নিয়ে যায়। একসময় কৃষি ফসল ও মানুষ বহনের জনপ্রিয় বাহন ছিল এই গরুর গাড়ি। মালপত্র পরিবহনে গরুর গাড়ি ছিল একমাত্র পরিবহন।

গরুর গাড়ির ইতিহাস সুপ্রাচীন। নব্যপ্রস্তর যুগের সময় থেকেই মানুষ এই যানটি ব্যবহার করে আসছে। সিন্ধু অববাহিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে গরুর গাড়ির প্রচলন শুরু হয় খ্রিস্টের জন্মের ১৬০০ থেকে ১৫০০ বছর আগে।

আরও পড়ুন -  Tower Block: মৃত্যু বেড়ে ৩৪, ইরানে টাওয়ার ব্লক ধসে

 প্রত্যন্ত এলাকায় দু-একটি গরুর গাড়ি চোঁখে পড়লেও শহরাঞ্চলে একেবারেই দেখা মেলে না। শহরের ছেলে মেয়েরা দূরের কথা, বর্তমানে গ্রামের ছেলে মেয়েরাও গরুর গাড়ি শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয়।

দুই যুগ আগেও গ্রামাঞ্চলে গরুর গাড়ি ছাড়া বিয়ে কল্পনা করা যেত না। বরপক্ষের লোকজন ১০ থেকে ১২টি গরুর গাড়ি সাজিয়ে বরযাত্রী যেত। সে সময় যেসব পরিবারে গরুর গাড়ি ছিল, তাদের কদর ছিল বেশি।

আরও পড়ুন -  শেষ রবিবারের প্রচারে জমজমাট জঙ্গলমহল

গরুর গাড়ির চালককে বলা হয় গাড়িয়াল। সেই চালককে উদ্দেশ্য করে রচিত হয়েছে ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই’ কিংবা ‘আস্তে বোলাও গাড়ি, আরেক নজর দেখিয়া ন্যাং মুই দয়ার বাপের বাড়িরে গাড়িয়াল’ এরকম যগান্তকারী সব ভাওয়াইয়া গান।

 বর্তমানে নানা ধরনের মোটরযানের কারণে অপেক্ষাকৃত ধীর গতির এই যানটির ব্যবহার অনেক কমে এসেছে। তাই এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। এখন মানুষ বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় মালামাল বহনের জন্য ট্রাক, পাওয়ার টিলার, লরি, নসিমন-করিমনসহ বিভিন্ন মালগাড়ি ব্যবহার করছে।

আরও পড়ুন -  বাম্পার অফার নারী দিবসে, সোনার দাম কমলো, লেটেস্ট রেট জানুন

ফলে গ্রামাঞ্চলেও চোখে পড়ে না গরুর গাড়ি। গরুর গাড়ির একটি সুবিধা হলো, পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন। এতে কোনো জ্বালানি লাগে না। ফলে ধোঁয়া হয় না। আবার ধীরগতির কারণে এতে তেমন কোনো দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকে না। যুগের পরিবর্তনে আমাদের প্রিয় এই গরুরগাড়ি প্রচলন আজ হারিয়ে যাচ্ছে কালের অতল গর্ভে।

সূত্রঃ ইন্টারনেট। ছবিঃ সংগৃহীত।