রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতে লড়াইয়ের জন্য বিদেশী ভাড়াটে সৈন্যদের নিয়োগে কিয়েভকে নিরবে সমর্থন করছে বেশ কয়েকটি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র।
সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা আরটি।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন চ্যালেঞ্জ ও হুমকি মোকাবেলা বিভাগের প্রধান ভ্লাদিমির তারাব্রিন জানান, কিয়েভের পক্ষে বিদেশী নাগরিকদের নিয়োগে কিছু ন্যাটো দেশের যথেষ্ট সমর্থনের বিষয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে রাশিয়া।
তারাব্রিন অভিযোগ করেছেন, এনজিও এবং ইউক্রেনীয় কূটনৈতিক মিশনগুলো বিদেশী ভাড়াটে সৈন্যদের নিয়োগের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি দাবি করেন, কিয়েভের এই ধরনের পদক্ষেপগুলো কূটনৈতিক সম্পর্কের ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন সহ আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার বিদেশী যোদ্ধা ইউক্রেনে পক্ষে যুদ্ধে নামে।
মস্কোর মতে, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৭ হাজার ভাড়াটে যোদ্ধা ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করছে। এর মধ্যে পোল্যান্ড থেকে ১,৮৩১ জন, কানাডার ৬০১, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৩০, রোমানিয়ার ৫০৪ এবং যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ৪২২ জন।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, এই বিদেশী যোদ্ধদের মধ্যে মাত্র ২ হাজার ৭৪১ জন এখনও লড়াই করছে। বাকিদের মধ্যে অনেকেই যুদ্ধে নিহত হয়েছে বা দেশে ফিরে গেছে।
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ সম্প্রতি সতর্ক করেছেন, ভাড়াটে যোদ্ধাদের আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সৈন্য হিসাবে বিবেচনা করা হয় না।