মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যু ব্যক্তি কেরালার বাসিন্দা। তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন দেশের বাইরে থেকে। শনিবার মাঙ্কিপক্সে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, যিনি মারা গেছেন তার বয়স মাত্র ২২ বছর। মাঙ্কিপক্সের কোনো লক্ষণও ছিলো না তার। শনিবারই বিদেশ থেকে তার আত্মীয়দের হাতে মাঙ্কিপক্স পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। সেই রিপোর্টে জানা গেছে, রিপোর্ট ছিলো পজিটিভ। গত ২২ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ওই যুবক কেরালায় ফিরেছিলেন।
কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে ছিলেন তিনি। কেরালার স্বাস্থ্য দফতর তার শরীরের নমুনা পরীক্ষা করে।
বিদেশেও ওই যুবকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিলো। তার শরীরের নমুনা পরীক্ষা হয়েছিলো। সেখানে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে, ততদিনে তিনি কেরালায় চলে এসেছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বলেন, শরীরে এনসেফ্যালাইটিস এবং ক্লান্তির কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর ঘটনা বেশ কম। সেই জন্য মৃত্যু কীভাবে হলো, তা জানতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই জ্বর এসেছিলো নিহত ওই যুবকের। তারপরই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই হাসপাতালে আবার তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো। আমিরাত থেকে কেরালায় আসার আগে তিনি একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিলেন। ওই পরীক্ষাতেই তার মাঙ্কিপক্স ধরা পড়েছে।
মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর ক্ষেত্রে শেষকৃত্যে কিছু বিধিনিষেধ আছে। সেই নিয়মকানুন মেনেই তাকে কবর দেয়া হয়েছে। ওই যুবকের সঙ্গে যাদের খুব কাছ থেকে যোগাযোগ হয়েছিলো, তাদের সবাইকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সূত্রঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।