বিজেপিতে প্রথম থেকেই আঁতাত চলছে, সেটা নিয়ে প্রথম থেকেই উঠছিল অভিযোগ। রিপোর্ট জমা পড়ছিল বারবার। এবারে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সুকান্ত, অমিতাভ এবং শুভেন্দুদের যে একাধিকপত্য চলছিল রাজ্যে, অনেকটা ছেটে ফেলা হলো।
রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অমিতাভ চক্রবর্তীর পরিবর্তে নিয়ে আসা হলো সতীশ ধানাদকে। সতীশ রাজ্য বিজেপির সহকারি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সম্প্রতি নিযুক্ত হয়েছেন। অমিতাভ চক্রবর্তীর একাধিপত্য তাতে অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তাকে নিজেই নিযুক্ত করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
কে এই সতীশ ধানাদ? বিজেপি সূত্রে খবর, সতীশ গোয়ায় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। গোয়ায় নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য এসেছিল তার হাত ধরেই। সতীশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে। দারুণ সাংগঠনিক দক্ষতাকে এবার বঙ্গ বিজেপিতে কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার চাপে পড়ে গিয়েছে বাংলার বিজেপি নেতারা।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করেছিল। বিজেপির আদি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন তার বিরুদ্ধে। তার সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে নালিশ পর্যন্ত জানানো হয়েছিল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।
জানা যাচ্ছে বিজেপির আদি নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নালিশ ঠুকেছিলেন। অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের নাম ছিল এই তালিকায়। এই তিনজনের মধ্যে দলের রাজ্য নেতৃত্তের সিদ্ধান্ত আবর্তিত হচ্ছে বলে রিপোর্ট জমা পড়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।
স্বয়ং দিলীপ ঘোষ নালিশ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। তাই দলকে এক সুতোয় বাঁধার জন্যই এবার আসতে চলেছেন সতীশ ধানাদ।