বাড়িতে নিজেই পার্লারের মতো ফেসিয়াল করে নিতে পারেন।
ক্লিঞ্জার
ফেসিয়াল করার আগে সবসময় ক্লিঞ্জার দিয়ে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। ক্লিনজার বেছে নিন আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী। আপনার হাতের কাছে ভালো মানের ক্লিঞ্জার না থেকে থাকে তাহলে আপনি ক্লিঞ্জার হিসেবে মধু বেঁছে নিতে পারেন। ভেজা মুখে মধু লাগিয়ে এক মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
ম্যাসাজ
আমাদের ত্বকে রয়েছে অনেক মৃত কোষ। মৃত কোষ তুলে ফেলার জন্য ত্বকে ম্যাসাজ করা বেশ কার্যকরী। ম্যাসাজ মুখ পরিষ্কার রাখতে এবং ত্বক থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ম্যাসাজ করলে ত্বকের ছিদ্রগুলি পরিষ্কার থাকে এবং ব্রণর সমস্যাও দূর হয়।
ম্যাসাজ এর জন্য বানিয়ে নিতে পারেন স্ক্রাব। এজন্য প্রয়োজন ১ চা চামচ ওটমিলের গুঁড়া, ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ অলিভ অয়েল। স্ক্রাব ব্যবহারের সময় খুব বেশি এবং খুব জোরে ত্বকে ঘষবেন না।
ফেইস প্যাক
ম্যাসাজ এর পরের ধাপ হল ফেইস প্যাক। ফেসিয়াল করার সময় ফেস প্যাক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। প্যাক ত্বকে পুষ্টি জোগাতে কাজ করে থাকে। প্যাক লাগানোর আগে ৫ মিনিট গরম জলের ভাপ নিয়ে নিন। ফুটনো গরম জলের পাত্রের ওপর ঝুঁকে মুখে ভাপটা নিন। এতে করে মুখের ময়লা গুলো আরও দ্রত বের হয়ে আসবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী বানিয়ে ফেলুন ফেইস প্যাক। শুষ্ক ত্বকের জন্য চটকানো পাকা কলা ও মধু এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি ও মধুর প্যাক দিয়ে প্যাক তৈরি করুন।
টোনার
মুখে খুলে যাওয়া লোমছিদ্র বন্ধ করার জন্য টোনার বেশ উপকারী। ফেস প্যাক তুলে ফেলার পর মুখে টোনার ব্যবহার করুন। আধা চা চামচ আপেল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে ১ চা চামচ জল মিশিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন টোনার। এছাড়া শসার রসও দিয়েও টোনার বানাতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজার
ফেসিয়াল এর সর্বশেষ ধাপ হল ময়েশ্চারাইজার। প্রতিদিন ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা খুব জরুরি। এতে করে ত্বক ড্যামেজ হওয়া থেকে রক্ষা পায়। আধা চা চামচ অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েল মেখে নিতে পারেন ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার হিসবে।