নতুন এই মন্ত্রিসভায় পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপির আইনপ্রণেতাদের অংশগ্রহণ কেমন থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একটি সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণ নেয়া নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে পিপিপির অভ্যন্তরে।
মঙ্গলবার পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত এমএমনিউজ এ খবর জানিয়েছে।
পিটিআই নেতা ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিতে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া হাতে হাত মিলিয়ে লড়েছে প্রধান দুই বিরোধী দল পিএলএম-এন ও পিপিপি। তাদের জোটবদ্ধ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পদ ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট, জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও সিনেট চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ চাইছে পিপিপি। তারা নতুন জোট সরকারের মন্ত্রী হওয়ার চেয়ে এ পদগুলোর প্রতি বেশি আগ্রহ।
নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পিপিপির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র জানিয়েছে, পিপিপি চায় না যে, তাদের নেতা বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি পাকিস্তানের নতুন ওই মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করুন। তবে বিষয়টি এখনও আলোচনাধীন রয়েছে।
একাংশ মনে করে, বিলওয়াল যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে আন্তর্জাতিক বিষয়-আশয়ে তার অভিজ্ঞতা বাড়বে। তথাপি পিপিপির একাংশ মনে করে, তাদের দলের সভাপতি হয়ে জোট সরকারের মন্ত্রী হলে বিলওয়ালের স্ট্যাটাস ক্ষুণ্ন হবে।
পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল পিপিপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বেনজির ভুট্টো ও আসিফ আলি জারদারির পুত্র বিলওয়াল।
সূত্র জানায়, জোট সরকারের মন্ত্রী হওয়ার প্রতি আগ্রহ নেই পিপিপির। এর পরিবর্তে তিনটি ফেডারেল পদে তারা আগ্রহী। পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে নিজেদের মধ্যে শলা-পরামর্শ শুরু করেছেন।
বসে নেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও। সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা নিয়ে জোটভুক্ত দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন তিনি। ওই মন্ত্রিসভায় সম্ভবত পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ থেকে ১২ জন মন্ত্রী এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির সাতজন মন্ত্রী থাকবেন।
সংগৃহীত ছবি।