ইউক্রেনে বেসামরিক লোকজনকে হত্যার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি এমন পদক্ষেপের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে ভারত। একইসাথে মস্কোকে নয়াদিল্লির গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ক্রমবর্ধমান চাপ সত্ত্বেও ইউক্রেন আগ্রাসনের জন্য দিল্লি তার দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়াকে নিন্দা জানানো থেকে বিরত ছিলো।
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য মাত্র নয়শো কোটি ডলারের, বেশিরভাগ সামরিক সরঞ্জামের জন্য ভারত স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার তার মিত্র মস্কোর কাছে অত্যন্ত নির্ভরশীল।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের তেল কোম্পানিগুলোও রাশিয়ার কাছ থেকে হ্রাসকৃত মূল্যে অপরিশোধিত তেল কেনার চুক্তি সম্পন্ন করেছে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে ভারত এই ক্রয়কে সমর্থন করেছে এবং ইঙ্গিত করেছে যে, ইউরোপ ও রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি ক্রয় অব্যাহত রেখেছে তারা।
ভারতের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হতাশ করেছে। তারা রাশিয়ার কঠোর নিন্দা জানানোর ক্ষেত্রে ভারতকে তাদের সাথে যোগ দেয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছিলো। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আক্রমণ শুরুর এক মাসেরও বেশি সময় পরে বহির্বিশ্বের নানারকম চাপ ও সমালোচনার পর অবশেষে রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানালো ভারত। ছবি- রয়টার্স