ধূমকেতুর দেখার জন্য অপেক্ষায় বাংলার দর্শক। ছবির অন্যতম প্রযোজক রানা সরকার ফেসবুক লাইভে এসে রীতিমতো চমকে গেলেন। অনুরাগীদের লাইভে আসতেই তিনি তার পিছনে থাকা এলইডি টিভিতে দেব এবং শুভশ্রীর ঘনিষ্ঠ চুম্বনের দৃশ্য চালিয়ে দেন। মাত্র দশ সেকেন্ডের এই দৃশ্য শেষ হলে তিনি বলেন,“আপনারা ধুমকেতু নিয়ে এত উৎসাহ দেখাচ্ছেন। অথচ আমরা দীর্ঘদিন ধরে ধুমকেতু রিলিজ করতে পারছিনা।
তবে ফেসবুক লাইভে এত কম দর্শক দেখে তিনি প্রায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি স্পষ্ট বলে ওঠেন,“যে সিনেমা নিয়ে এত উত্তেজনা সেই সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট যদি মাত্র ১৪০ জন উপস্থিত হয় তাহলে যদি এই ছবি হলে রিলিজ করে, কজন দেখতে আসবে এই নিয়েও আমার মনে সন্দেহ হচ্ছে।”
আমরা ছবিটা রিলিজ করার মত পর্যায়ে চলে এসেছি। কিছু বাধা এখনো আছে। সেই বাধা গুলি তিনি দর্শকদের মধ্যে ভাগ করে নেব এবং এই বাধাগুলোকে অতিক্রম করার জন্য তার দর্শকদের সাহায্য একান্ত দরকার। তিনি আরও জানান,“দেব খুব উৎসাহী ছবিটা নিয়ে আমায় খুব সহায়তা করছে ছবিটা রিলিজের জন্য, শুভশ্রীও বারবার জানতে চান যে কবে ছবিটি রিলিজ হবে। সবথেকে বড় কথা কোনো ব্যবসায়িক স্বার্থ ছাড়াই এসভিএফ এর কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি নিজে থেকে এগিয়ে এসেছেন এই ছবিটার রিলিজ করার জন্য।”
তিনি জানান যে মুম্বইয়ের একটি কোম্পানি প্রযোজকের সঙ্গে ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। তার সঙ্গে কিছু আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। তিনি আশ্বাস দেন যে সেই জটিলতাও কিছুদিনের মধ্যে কাটিয়ে উঠতে পারবেন। রানা সরকার জানান যে সামনের শনিবার বিকেল পাঁচটার সময় তিনি আবার লাইভে আসবেন। সেই দিন তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন ছবিটি সম্ভাব্য রিলিজ ডেট জানানোর।
তিনি বলেন, একজন প্রযোজক যে চার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে এই ছবিটি বানানোর জন্য তার কোন উদ্দেশ্য নেই যে ছবিটি রিলিজ হবে না। ছবিটি যে খুব ভালো হয়েছে তা নিজেই জানান দেব এবং শুভশ্রী। সবথেকে বড় চমক তিনি লাইভের শেষে রাখেন।
তিনি বলেন যদি ভগবানের কৃপায় সব ঠিক থাকে তাহলে দেবের কিশমিশের মুক্তি পাওয়ার পর একটি ডেট ঠিক করে ধুমকেতু খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে।
যদিও তিনি বারবার অভিযোগ তুলেছিলেন যে দেব শুভশ্রীর ফ্যানরা নিষ্ক্রিয়। যদি ১০০-২০০ লোক লাইভ দেখতে আসেন তাহলে সিনেমা হলে কতজন যাবেন। একজন লেখেন,“ রানা সরকার কোন নামি লোক নন। কেউ অনেকেই সেভাবে চেনে না না। ওনার ফেসবুক লাইভে যেটুকু লোক হয়েছে সেটাই অনেক। যদি দেব শুভশ্রী বা কৌশিক গাঙ্গুলী ফিল্মটার অ্যানাউন্স করতেন তাহলে আরো লোক জানতেন।” আবার আরেকজন চুম্বন দৃশ্যকে পাবলিসিটি স্টান্ট বলে কটাক্ষ করে লেখেন,“ওই জন্যই উনি বোধহয় চুমুর দৃশ্য দেখিয়েছেন যাতে লোকে হ্যাংলার মত ওঁর লাইভ দেখে।”